তারেক রহমানের কৃতক রাষ্ট্র কাটামো মেরামতের ৩১ দফা

- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
ঢাকা মুগদা থানা উদ্যোগে কমলাপুর স্টেডিয়াম আয়োজিত কর্মশালা।
তারেক রহমানের কৃতক রাষ্ট্র কাটামো মেরামতের ৩১ দফা।
১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কৃতক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাটামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মশালা।
তারেক রহমান সকল নেতা কর্মীদের বলেন ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে সুশৃঙ্খল বজায় রাখতে এবং কোন প্রকার অপকর্ম থেকে দূরে থাকতে আহবান জানান।
রাষ্ট্র কাটামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মশালা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস “সদস্য জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিএনপি”,
আফরোজা আব্বাস “জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র মহিলা দলের সভানেত্রী”
রফিকুল আলম মঞ্জু “আহবায়ক বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ”, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহম্মেদ কেন্দ্রীয় কমিটির বার্নিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাক হোসেন “১নং সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ”, তানভীর আহম্মেদ রবিন সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক ছাএ নেতা, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক নিবাহী কমিটি সদস্য বিএনপি”,
খুরশিদ আলম “সভাপতি ৭১ নং ওয়ার্ড মুগদা থানা”,
জিয়াউল হক রতন “সভাপতি ৭২ নং ওয়ার্ড মুগদা থানা”,
মাসুদ “সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মুগদা থানা”
টিপু ৭ নং “সভাপতি ওয়ার্ড মুগদা থানা” শামসুল হুদা “সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুগদা থানা।
বিএনপি সকল নেতা কর্মী ও বক্তব্য বলেন বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি,লুটতরাজ এবং সাধারন জনগণ উপর প্রকার অন্যায় অত্যাচার করে এসব কর্মী বা নাম বিক্রি করে দলের বদনাম করবে এমন কেউ বিএনপিতে থাকার দরকার নাই, সকলকে সতর্ক জানিয়েছেন।
রফিকুল আলম মঞ্জু বলেন বিগত আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা কর্মী ও যারা আওয়ামিলীগ বিপক্ষে কথা বলেছে তাদেক বিনা দোষে জেল খাটেছে কত মানুষ কে হত্যা করেছে গুম করা হয়েছে তার কোন হিসেব নেই,
আওয়ামীলীগের দোসরা শেখ হাছিনা ও আওয়ামিলীগ নেতা কর্মী ধরে আনতে হবে এবং তাদের বিচার করতে হবে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ শান্তি পাবে না, বিএনপি ক্ষমতা আসলে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতি মুক্ত গড়ে তুলবো আমরা সবাই বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে ঐক্যবদ্ধ থাকবে বিএনপি। রফিকুল আলম মঞ্জু আরে বলে বিএনপি’র কোন নেতা কর্মী এমন কোন কাজ করবেন না যাতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করতে হয় তাই সকল নেতাকর্মী ভাল ভাবে চলার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ ইউনূস কাছে আহবান জানান একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠীত করার জন্য, জনগন যাকে ভাল মনে করবেন যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে নির্বাচনে জয় লাভ করাবেন।
মির্জা আব্বাস সকল নেতাকর্মী উদ্দেশ্যে বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করবো বাংলাদেশ কে সুন্দর করে গড়ে তুলবো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বো আমরা।
মির্জা আব্বাস বলেন বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক এমন অবস্থা হয়েছে হিংসা বিদ ছাড়া আর কিছু নাই, এই বছরের ডিসেম্বর ভিতরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সকল নেতাকর্মী বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিদেশ বিএনপি কোন নেতাকর্মী এমন কিছু করবেন না যাতে করে বিএনপির সন্মান নষ্ট নাহয় আমরা সুন্দর একটি দেশ গড়তে চাই। মির্জা আব্বাস বলেন স্বাধীন দেশে বাংলার মানুষ স্বাধীন ভাবে চলতে পারে এই কামনা করি।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি তুলে ধরেন ও পাট করেন,
আফরোজা আব্বাস:-
১. জনগনের গনতান্ত্রীক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
২. সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা
(Rainbow Nation) ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন (National Reconciliation Com-Mission) গঠন।
৩. অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্ণঃপ্রবর্তন।
৪. আইনসভা, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা।
৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারণ।
৬. বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভার উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন
ও বিধি সংশোধন।
৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালীকরন।
১০. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পূনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি আইন প্রণয়ন।
১১. গণমুখী জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
১২. মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩. দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
১৫. আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিটি গঠন।
১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।
১৭. মুদ্রাস্কীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস্য-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরির নিশ্চিত করা।
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনি-কায়ন।
১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
২০. প্রতিরক্ষা বাহিনী অধিকতর আধুনিকায়ন ও সুক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের উধের্ব রাখা।
২১. প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকারণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।
২৩. কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
২৪. নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৫. চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এবং “সর্বজনীন চিকিৎসা” ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপন্ন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২৮. সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২৯. জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়
কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।