ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু কুড়িগ্রামে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন খোকসায় কাদিরপুরে বিশেষ অভিযানে ১৮ পিছ ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার। সারা দেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে লংমার্চ করেছে কৃষক ঐক্য পরিষদ : রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ : স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে সর্বস্ব হারালেন গৃহবধূ যশোরে জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী থানার গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফেনী ফুলগাজীতে ভারতীয় পণ্য চকলেটসহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ও ঔষধ বিতরণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি নির্মাণ প্রকল্প বাতিল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ।

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বাড়ীতে ৭ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ১২টা পর ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ করেন ছাএ জনতা। ছাএ জনতা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান বিগত আওয়ামিলীগ সরকার আমলে ফেনী জেলাকে আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী তারা নিজের হাতে জিম্মি করে রাখেন ফেনী জেলাকে এবং তারা সকল ধরনে অসামাজিক কাজ করেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন, তার সাথে সংযোগ হয়েছে ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ আরো ফেনী জেলা আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা, সকল ধরনে অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ করতেন।

আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী এই কার্যকলাপ কারনে ক্ষিপ্ত ছিল ফেনীর ছাএ জনতা ও ফেনী জেলাবাসী জনগন, ছাএ জনতা ক্ষিপ্ত ছিল তাদের উপর তাই ৭ই ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা পর আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ করেন।

এক সময় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হন আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম। আর এই ফটোকল অফিসার পদটাই তার জীবনে আলাদিনের বাতি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ২০০৯ সালের পর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পদপদবি না থাকার পরও আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের হাতে টাকা আসতে থাকে স্রোতের মতো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পদ পেয়ে অর্থাৎ আলাদিনের বাতি পেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম।

আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমকে আগে সবাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবেই চিনতেন ও জানতেন। এর বাইরে সুদর্শন, স্মার্ট আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শেখ রেহানার অবৈধ্য টাকার সংগ্রাহকও বলা হতো আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমকে।

ফেনী জেলার আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সবাই তাকে অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর তার নামে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি হয়েছে পিও অভিভাবক পালাইছে। আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম চলতি ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ফেনী জেলার অভিভাবক ছিলেন। নেতাকর্মীদের ভাষ্য ছিল আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম নিজে মন্ত্রী নন, কিন্ত তিনি তবে মন্ত্রী বানান।

এছাড়া আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম এবং ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ফেনী জেলা তাদের দখলে, যেমন ফেনী ক্যাডেট কলেজ, ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতাল, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউ, ফেনী সরকারী কলেজ, ফেনী জেলা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুরু করে ফেনীতে যত বড় ব্যবসা বার্নিজ ও অন্যন্যা কাজ কর্ম যেগুলো আছে সরকারি বেসরকারি সব আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী দখল দারি ছিল। যেখানে যাওয়া হত শুধু তাদের লোক তাদের ক্ষমতা চলতো ফেনী জেলায়, সাধারন মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। ফেনী থেকে কোটি কোটি আয়ের টাকা আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী তাদের কাছে পৌঁছাতো।

৫ আগষ্টের পর ফেনীবাসীদের একটাই কথা ফেনীবাসী মুক্ত হল এই জালিমদের হাত থেকে, স্বাধীন ভাবে চলার স্বাধীনতা ফিরে পেলাম আমরা ফেনী বাসি। সবার মুখে একটা স্লোগান
মু্ক্ত ফেনীবাসী মুক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ।

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বাড়ীতে ৭ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ১২টা পর ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ করেন ছাএ জনতা। ছাএ জনতা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান বিগত আওয়ামিলীগ সরকার আমলে ফেনী জেলাকে আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী তারা নিজের হাতে জিম্মি করে রাখেন ফেনী জেলাকে এবং তারা সকল ধরনে অসামাজিক কাজ করেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন, তার সাথে সংযোগ হয়েছে ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ আরো ফেনী জেলা আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা, সকল ধরনে অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ করতেন।

আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী এই কার্যকলাপ কারনে ক্ষিপ্ত ছিল ফেনীর ছাএ জনতা ও ফেনী জেলাবাসী জনগন, ছাএ জনতা ক্ষিপ্ত ছিল তাদের উপর তাই ৭ই ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা পর আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নি নিক্ষেপ করেন।

এক সময় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হন আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম। আর এই ফটোকল অফিসার পদটাই তার জীবনে আলাদিনের বাতি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ২০০৯ সালের পর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পদপদবি না থাকার পরও আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের হাতে টাকা আসতে থাকে স্রোতের মতো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পদ পেয়ে অর্থাৎ আলাদিনের বাতি পেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম।

আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমকে আগে সবাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবেই চিনতেন ও জানতেন। এর বাইরে সুদর্শন, স্মার্ট আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শেখ রেহানার অবৈধ্য টাকার সংগ্রাহকও বলা হতো আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমকে।

ফেনী জেলার আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সবাই তাকে অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর তার নামে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি হয়েছে পিও অভিভাবক পালাইছে। আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম চলতি ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ফেনী জেলার অভিভাবক ছিলেন। নেতাকর্মীদের ভাষ্য ছিল আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম নিজে মন্ত্রী নন, কিন্ত তিনি তবে মন্ত্রী বানান।

এছাড়া আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম এবং ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ফেনী জেলা তাদের দখলে, যেমন ফেনী ক্যাডেট কলেজ, ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতাল, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউ, ফেনী সরকারী কলেজ, ফেনী জেলা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুরু করে ফেনীতে যত বড় ব্যবসা বার্নিজ ও অন্যন্যা কাজ কর্ম যেগুলো আছে সরকারি বেসরকারি সব আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী দখল দারি ছিল। যেখানে যাওয়া হত শুধু তাদের লোক তাদের ক্ষমতা চলতো ফেনী জেলায়, সাধারন মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। ফেনী থেকে কোটি কোটি আয়ের টাকা আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ও নিজাম উদ্দিন হাজারী তাদের কাছে পৌঁছাতো।

৫ আগষ্টের পর ফেনীবাসীদের একটাই কথা ফেনীবাসী মুক্ত হল এই জালিমদের হাত থেকে, স্বাধীন ভাবে চলার স্বাধীনতা ফিরে পেলাম আমরা ফেনী বাসি। সবার মুখে একটা স্লোগান
মু্ক্ত ফেনীবাসী মুক্ত।