ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে সনাতনী নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল্লাহ রুবেল অনেকাংশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে শতবছর আগে ব্রিটিশ আমলের রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশনটি মহেশখালী থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন মহিলা দলের আয়োজনে উঠান বৈঠক উত্তর-পশ্চিমে আগাম শীতের পদচারণা ডিসেম্বরেই প্রথম শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে কাজী মনিরুজ্জামান রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ২ পুলিশ সদস্য কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ এই শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি আমার স্বপ্ন

রংপুর থেকে হারিয়ে গেছে খটখটিয়া বেগুন

Reporter
স্টাফ রিপোর্টার রংপুর।
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
LazyLoad Image

রংপুর থেকে হারিয়ে গেছে খটখটিয়া বেগুন

দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Print News

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর

রংপুরের খটখটিয়া গ্রাম প্রায় আড়াই দশক আগে বেগুন চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই গ্রামের বেগুন সারা দেশে সমাদৃত ছিল। তাই তো গ্রামের নামেই বেগুনের নাম রাখে কৃষি বিভাগ। চাষাবাদে আধুনিকতার ছোঁয়া, উন্নত জাতের উদ্ভাবন, বাণিজ্যিকভাবে লাভ না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে রংপুর থেকে হারিয়ে গেছে এই বেগুন

দুই-একজন কৃষক শখ করে চাষ করলেও এই বেগুন এখন স্মৃতি। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ নেই। জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে এই জাতের উদ্ভাবন হয়। মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষ হতো এই বেগুন

চারা লাগানোর ৬০-৬৫ দিন পর ফল তোলার উপযোগী এবং ৩-৪ মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যেত। এই জাতের গড় জীবনকাল প্রায় ১৬০ দিন। রং ছিল কালচে বেগুনি ও গাছের উচ্চতা মাঝারি আকারের। শতক প্রতি ফলন হতো ১২০-১৫০ কেজি।এর চাষ খটখটিয়া গ্রাম থেকে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু নতুন নতুন জাত আসায় এখন সারা বছরই বেগুন পাওয়া যায় এবং ফলনও বেশি হয়। তাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় খটখটিয়া বেগুনরংপুরের বধূ কমলা এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এক সময় খটখটিয়া বেগুন চাষ করতাম। ১০-১৫ বছর থেকে এই বেগুন চাষ করি না।খটখটিয়া বেগুনে লাভ তেমন হতো না। তাই এই বেগুন বাদ দিয়ে অন্য ফসল চাষ করছি। ’ রংপুরের বুড়িহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু সায়েম বলেন, ‘খটখটিয়া গ্রামের নামেই বেগুনের নাম দেওয়া হয়েছিল। নতুন জাতের উদ্ভাবন হওয়ায় খটখটিয়া বেগুন কেউ চাষ করতে চায় না। তাই খটখটিয়া বেগুন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Bannar 1

Jonotar Sorkar Banner Bangl 1

Tamplate Govtjob Bn

রংপুর থেকে হারিয়ে গেছে খটখটিয়া বেগুন

আপডেট সময় : ১১:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
IMG 20250915 WA0001
Print News

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর

রংপুরের খটখটিয়া গ্রাম প্রায় আড়াই দশক আগে বেগুন চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই গ্রামের বেগুন সারা দেশে সমাদৃত ছিল। তাই তো গ্রামের নামেই বেগুনের নাম রাখে কৃষি বিভাগ। চাষাবাদে আধুনিকতার ছোঁয়া, উন্নত জাতের উদ্ভাবন, বাণিজ্যিকভাবে লাভ না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে রংপুর থেকে হারিয়ে গেছে এই বেগুন

দুই-একজন কৃষক শখ করে চাষ করলেও এই বেগুন এখন স্মৃতি। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ নেই। জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে এই জাতের উদ্ভাবন হয়। মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষ হতো এই বেগুন

চারা লাগানোর ৬০-৬৫ দিন পর ফল তোলার উপযোগী এবং ৩-৪ মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যেত। এই জাতের গড় জীবনকাল প্রায় ১৬০ দিন। রং ছিল কালচে বেগুনি ও গাছের উচ্চতা মাঝারি আকারের। শতক প্রতি ফলন হতো ১২০-১৫০ কেজি।এর চাষ খটখটিয়া গ্রাম থেকে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু নতুন নতুন জাত আসায় এখন সারা বছরই বেগুন পাওয়া যায় এবং ফলনও বেশি হয়। তাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় খটখটিয়া বেগুনরংপুরের বধূ কমলা এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এক সময় খটখটিয়া বেগুন চাষ করতাম। ১০-১৫ বছর থেকে এই বেগুন চাষ করি না।খটখটিয়া বেগুনে লাভ তেমন হতো না। তাই এই বেগুন বাদ দিয়ে অন্য ফসল চাষ করছি। ’ রংপুরের বুড়িহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু সায়েম বলেন, ‘খটখটিয়া গ্রামের নামেই বেগুনের নাম দেওয়া হয়েছিল। নতুন জাতের উদ্ভাবন হওয়ায় খটখটিয়া বেগুন কেউ চাষ করতে চায় না। তাই খটখটিয়া বেগুন প্রায় বিলুপ্তির পথে।