ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু কুড়িগ্রামে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন খোকসায় কাদিরপুরে বিশেষ অভিযানে ১৮ পিছ ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার। সারা দেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে লংমার্চ করেছে কৃষক ঐক্য পরিষদ : রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ : স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে সর্বস্ব হারালেন গৃহবধূ যশোরে জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী থানার গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফেনী ফুলগাজীতে ভারতীয় পণ্য চকলেটসহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ও ঔষধ বিতরণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি নির্মাণ প্রকল্প বাতিল।

চিলাহাটি স্থলবন্দর: উন্নয়নের সম্ভাবনা নাকি অবহেলার শিকার?

মোঃমকবুলার রহমান স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃমকবুলার রহমান স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী

নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চিলাহাটি স্থলবন্দর। অথচ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী অবকাঠামোগত দুর্বলতার অজুহাতে এই বন্দর বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সংযোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা
চিলাহাটি স্থলবন্দর দীর্ঘদিন ধরেই নীলফামারী জেলার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনাময় একটি গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় এই বন্দরের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। অথচ এখন এই সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নীলফামারী জেলা অর্থনৈতিকভাবে আরো পিছিয়ে পড়বে।

অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা: সমাধান কি নয়?
যে কারণে চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে, তা হলো অবকাঠামোগত ঘাটতি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অবকাঠামো উন্নয়নের পরিবর্তে সরাসরি বন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন? সরকারের উচিত ছিল এই বন্দরের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নির্মাণ করে কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা। একটি সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর শুধুমাত্র অবকাঠামোর অভাবে বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে বন্দরের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হলে এটি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

সর্বদলীয় নেতাদের করণীয়
চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব পড়বে নীলফামারীর ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণের ওপর। তাই জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর উচিত এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে দাবি জানানো। তারা যদি কার্যকর উদ্যোগ না নেন, তাহলে শুধু চিলাহাটি নয়, সমগ্র নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

সরকারের কাছে অনুরোধ, চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধ না করে বরং এর যথাযথ উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করে কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা হোক। এটাই হবে নীলফামারী জেলার মানুষের স্বার্থরক্ষা এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে স্থলবন্দরটি বন্ধের সুপারিশের বিষয়টি জানা গেছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিলাহাটি স্থলবন্দর: উন্নয়নের সম্ভাবনা নাকি অবহেলার শিকার?

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

মোঃমকবুলার রহমান স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী

নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চিলাহাটি স্থলবন্দর। অথচ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী অবকাঠামোগত দুর্বলতার অজুহাতে এই বন্দর বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সংযোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা
চিলাহাটি স্থলবন্দর দীর্ঘদিন ধরেই নীলফামারী জেলার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনাময় একটি গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় এই বন্দরের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। অথচ এখন এই সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নীলফামারী জেলা অর্থনৈতিকভাবে আরো পিছিয়ে পড়বে।

অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা: সমাধান কি নয়?
যে কারণে চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে, তা হলো অবকাঠামোগত ঘাটতি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অবকাঠামো উন্নয়নের পরিবর্তে সরাসরি বন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন? সরকারের উচিত ছিল এই বন্দরের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নির্মাণ করে কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা। একটি সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর শুধুমাত্র অবকাঠামোর অভাবে বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে বন্দরের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হলে এটি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

সর্বদলীয় নেতাদের করণীয়
চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব পড়বে নীলফামারীর ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণের ওপর। তাই জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর উচিত এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে দাবি জানানো। তারা যদি কার্যকর উদ্যোগ না নেন, তাহলে শুধু চিলাহাটি নয়, সমগ্র নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

সরকারের কাছে অনুরোধ, চিলাহাটি স্থলবন্দর বন্ধ না করে বরং এর যথাযথ উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করে কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা হোক। এটাই হবে নীলফামারী জেলার মানুষের স্বার্থরক্ষা এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে স্থলবন্দরটি বন্ধের সুপারিশের বিষয়টি জানা গেছে ।