বাংলাদেশে আসছে চীনা বিশেষজ্ঞ দল, তিস্তা প্রকল্পে ঋণের আলোচনায় অগ্রগতি

- আপডেট সময় : ০৩:১৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের সহায়তা নিতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে বেইজিংয়ের কাছে ঋণ চাওয়ার পাশাপাশি প্রকল্পে চীনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দৈনিক বাংলা সুত্রে এমনটি জানা গেছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে তাদের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশ সফর করবে এবং প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করবে। সোমবার পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
সূত্র জানায়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চীন এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রকল্পের আর্থিক দিক নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে।
এ বৈঠকে আরও আলোচিত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি। পাশাপাশি চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণসহ বিভিন্ন চলমান প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়েও কথা হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট শী চিনপিং ঘোষিত বৈশ্বিক সুশাসন উদ্যোগে (জিজিআই) যোগ দিতে বাংলাদেশকে আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছে বেইজিং। ইয়াও ওয়েন জানান, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই ৮০ কোটি ডলারের বেশি হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর থেকে তিস্তা প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার সক্রিয় হয়। গত মে মাসে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পে চীনা ঋণের প্রস্তাব পাঠায়। পরে জুলাইয়ে ইআরডি চীনা দূতাবাসে ‘কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব তিস্তা রিভার প্রজেক্ট’-এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণ প্রার্থনা করে। সরকারের লক্ষ্য, চলতি বছরের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করা।
তিস্তা মহাপরিকল্পনার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৫৫ কোটি ডলার আসবে চীনের ঋণ থেকে এবং অবশিষ্ট অংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালে শুরু করে ২০২৯ সালের মধ্যে সমাপ্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিস্তা প্রকল্পে চীন ও ভারতের আগ্রহ বহুদিনের। ২০২৪ সালের মে মাসে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়েত্রা ঢাকা সফরে এসে এ প্রকল্পে নয়াদিল্লির বিনিয়োগ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারও চাইত ভারত যেন অর্থায়নে যুক্ত হয়। তবে বর্তমান প্রক্রিয়ায় চীনের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথই এখন বেশি উন্মুক্ত হয়ে উঠছে।





























