ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের উপর হামলায় ৭জন গ্রেফতার। নরসিংদীতে ১২ ঘন্টার মধ্যেই মিললো স্বামী-স্ত্রী দুজনের মরদেহ দ্রুত তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই- ডা.শফিকুর রহমান ফেনী সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে মালামাল জব্দ করেছে ফেনী ব্যাটালিয়ন ৪ বিজিবি। ৬শ কর্মী মিলে ঢাকা যাত্রাবাড়ী-সাইনবোর্ড মহাসড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। রাজউকের অভিযানে তিন ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ ও জরিমানা। নৌকাডুবিতে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর শীতলক্ষা নদী থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার রক্ত মিশিয়ে মাংস বিক্রি, ২ হাজার টাকা জরিমানা আমার প্রশ্ন, হাসিনুর কি মানুষ নয়? মানুষ হয়ে মানুষের বুকের ওপর পা দিয়ে গুলি করে কীভাবে হত্যা করে? ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ : ডা. শফিকুর রহমান ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঘাতক আতিকুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নারীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর তার মেয়ের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) রবিবার সকালে ঘাতক আতিকুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পরের দিন ওই নারীর মেয়ে সায়মার (৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক।
তিনি জানান, (৭ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকালে পুলিশ করতোয়া নদীর বড় বদনারপাড়া নামকস্থান থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আতিকুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হলে তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ নামকস্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘাতক আতিকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, দেড় মাস আগে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের ৫ বছরের মেয়ে সায়মাকে মেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পুঁতে রাখা সায়মার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনারাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫)। তিনি ১জন পেশাদার জুয়াড়ি হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী নিয়ে আসতেন। কয়েকদিন আগে সে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুককে (৩৬) তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত শুক্রবার সকালে পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর তীরে বড় বদনারপাড়ায় একটি মরিচের ক্ষেত থেকে ঝিনুকের মাথাবিহীন লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ এবং র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আতিকুর রহমানকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঝিনুকের ফেলে রাখা লাশের স্থান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ওই নদীর টোংরারদহ নামকস্থানে নদীপাড়ে কাঁদার নিচ থেকে ঝিনুকের মাথাটি ৪১ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেলে উদ্ধার করে।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, কী কারণে নারীকে হত্যা এবং তার সন্তানকে হত্যা করেছে ঘাতক তা এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। মূল ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘাতক আতিকুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নারীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর তার মেয়ের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) রবিবার সকালে ঘাতক আতিকুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পরের দিন ওই নারীর মেয়ে সায়মার (৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক।
তিনি জানান, (৭ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকালে পুলিশ করতোয়া নদীর বড় বদনারপাড়া নামকস্থান থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আতিকুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হলে তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ নামকস্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘাতক আতিকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, দেড় মাস আগে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের ৫ বছরের মেয়ে সায়মাকে মেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পুঁতে রাখা সায়মার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনারাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫)। তিনি ১জন পেশাদার জুয়াড়ি হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী নিয়ে আসতেন। কয়েকদিন আগে সে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুককে (৩৬) তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত শুক্রবার সকালে পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর তীরে বড় বদনারপাড়ায় একটি মরিচের ক্ষেত থেকে ঝিনুকের মাথাবিহীন লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ এবং র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আতিকুর রহমানকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঝিনুকের ফেলে রাখা লাশের স্থান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ওই নদীর টোংরারদহ নামকস্থানে নদীপাড়ে কাঁদার নিচ থেকে ঝিনুকের মাথাটি ৪১ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেলে উদ্ধার করে।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, কী কারণে নারীকে হত্যা এবং তার সন্তানকে হত্যা করেছে ঘাতক তা এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। মূল ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে জানা যাবে।