ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চন্দ্রগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ আগের বিদ্যুৎ বিল চেয়ে বর্তমান বিদ্যুত বিল তুলনা মূলকভাবে বেশী নিচ্ছেন অনেক গ্রহকের অভিযোগ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে ‘ব্যবহার’ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ: কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের বেগমগঞ্জের ০৫ নং ছয়ানীতে ছাত্রদল কর্মীদের হাতে খুন হলো যুবদল কর্মী, আটক ৩ রাজধানী ঢাকা যাএাবাড়ী-মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্রগ্রামে মহাসড়কের বাসের ধাক্কায় বাইক চালক আহত মনোহরদীতে দুর্বিত্তদের হামলায় বাড়ী-ঘর ও দোকান ভাংচুর এবং নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ ফেনী ছাগলনাইয়ায় মাদক কারবারিদের হামলায় ৫ ডিবি পুলিশ আহত, আটক ৩ নীলফামারীতে স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আজ (১৭ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন রাজারহাট কুড়িগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর ২ পারে আশপাশের ৫টি জেলার মানুষ এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এ জন্য কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন সহ ১১টি স্থানে মঞ্চ ও তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি স্থানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

আগামীকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মসূচির আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঞ্চে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান করতে মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। খাবার, অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, গোসল, শৌচাগারসহ অতিপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। দিনে থাকবে ঘুড়ি উৎসবসহ গ্রামীণ সব খেলাধুলা আর রাতে তিস্তাপারের মানুষের সুখ-দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও ভাওয়াইয়া গানের আসর, তিস্তার ২ পারে জ্বলবে মশাল। সব মিলে তিস্তাপাড় সেজে এক বর্ণিল সাজে।
তিস্তাপারের কৃষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, তিস্তা হামার সব শেষ করছে বাহে। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু ছিল। একে একে আটবার তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে সব। এখন মানুষের অন্যের জমিতে থাকি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করতে পারব বাহে।
আঞ্চলিক ভাষায় সবাইকে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আইসো বাহে, তিস্তা বাঁচাই।
তিস্তার পানির হিস্যা চাই, মহাপরিকল্পনা দ্রুতই চাই।
২ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন মনসুর আলী তিনি বলেন, তিস্তা বাঁচলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট সহ রংপুর অঞ্চল বাঁচবে বাহে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা হলে হামাক আর বেকার থাকা লাগবি না। কাজ কাম পাব, জমি চাষাবাদ করমো। ভালোই চলবে দিন। তাই হাটি রহনা দিয়েছি তিস্তাপারের মঞ্চে যাব। দুই দিন থাকব।

তিস্তাপারের বাসিন্দারা বলছেন, তিস্তার তলদেশ ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দুই কূল উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যা আর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ স্থাপনা। একই সঙ্গে বর্ষা মৌসুম শেষে মাইলের পর মাইল মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তার বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে অনাবাদি পড়ে রয়েছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। অন্য দিকে তিস্তার উজানে ভারত সরকার গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা ব্যবহার করছে। তারা বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে বাংলাদেশ অংশের রংপুর অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। আবার বর্ষা মৌসুম শেষে তিস্তা মরুভূমিতে পরিণত হয়।
এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে আসছে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ। যে দাবি আদায়ে বিভিন্ন সময় নানান আন্দোলন-সংগ্রাহ করেছে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তাপারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।

উক্ত তিস্তা সড়ক সেতু মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন।
এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদস্য শফিকুল ইসলাম বেবু,হাসিবুর রহমান হাসিব। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান,সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনিসুর রহমান লিটন সহ অনেকেই।

উক্ত সমাবেশ বক্তারা বলেন,তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং গাইবান্ধা জেলার কয়েক লাখ
কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের দাসত্ব থাকায় তিস্তা নদীর ন্যায্য হিৎস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎস্যা এবং তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি রাখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আজ (১৭ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন রাজারহাট কুড়িগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর ২ পারে আশপাশের ৫টি জেলার মানুষ এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এ জন্য কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন সহ ১১টি স্থানে মঞ্চ ও তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি স্থানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

আগামীকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মসূচির আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঞ্চে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান করতে মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। খাবার, অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, গোসল, শৌচাগারসহ অতিপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। দিনে থাকবে ঘুড়ি উৎসবসহ গ্রামীণ সব খেলাধুলা আর রাতে তিস্তাপারের মানুষের সুখ-দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও ভাওয়াইয়া গানের আসর, তিস্তার ২ পারে জ্বলবে মশাল। সব মিলে তিস্তাপাড় সেজে এক বর্ণিল সাজে।
তিস্তাপারের কৃষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, তিস্তা হামার সব শেষ করছে বাহে। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু ছিল। একে একে আটবার তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে সব। এখন মানুষের অন্যের জমিতে থাকি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করতে পারব বাহে।
আঞ্চলিক ভাষায় সবাইকে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আইসো বাহে, তিস্তা বাঁচাই।
তিস্তার পানির হিস্যা চাই, মহাপরিকল্পনা দ্রুতই চাই।
২ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন মনসুর আলী তিনি বলেন, তিস্তা বাঁচলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট সহ রংপুর অঞ্চল বাঁচবে বাহে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা হলে হামাক আর বেকার থাকা লাগবি না। কাজ কাম পাব, জমি চাষাবাদ করমো। ভালোই চলবে দিন। তাই হাটি রহনা দিয়েছি তিস্তাপারের মঞ্চে যাব। দুই দিন থাকব।

তিস্তাপারের বাসিন্দারা বলছেন, তিস্তার তলদেশ ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দুই কূল উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যা আর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ স্থাপনা। একই সঙ্গে বর্ষা মৌসুম শেষে মাইলের পর মাইল মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তার বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে অনাবাদি পড়ে রয়েছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। অন্য দিকে তিস্তার উজানে ভারত সরকার গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা ব্যবহার করছে। তারা বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে বাংলাদেশ অংশের রংপুর অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। আবার বর্ষা মৌসুম শেষে তিস্তা মরুভূমিতে পরিণত হয়।
এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে আসছে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ। যে দাবি আদায়ে বিভিন্ন সময় নানান আন্দোলন-সংগ্রাহ করেছে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তাপারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।

উক্ত তিস্তা সড়ক সেতু মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন।
এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদস্য শফিকুল ইসলাম বেবু,হাসিবুর রহমান হাসিব। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান,সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনিসুর রহমান লিটন সহ অনেকেই।

উক্ত সমাবেশ বক্তারা বলেন,তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং গাইবান্ধা জেলার কয়েক লাখ
কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের দাসত্ব থাকায় তিস্তা নদীর ন্যায্য হিৎস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎস্যা এবং তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি রাখছি।