যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি মানববন্ধন।

- আপডেট সময় : ১১:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা: কুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেয়ার পরদিন যুবদলের নেতা তৌহিদুল ইসলাম মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি উদ্ব্যােগে ২ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অদিল বিন সিদ্দিক তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল। প্রধান বক্তব্য রাখেন ছাত্রগণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টুটুল সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথবাহিনী হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। অমানবিক নির্যাতনের কারণে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহতের শরীরে নির্যাতনের ক্ষতি চিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা।
তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক। তিনি একই ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। গত রবিবার তাঁর বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি বাড়িতে আসেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার তাঁর বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। তৌহিদুলের মা প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। সংসারে তাঁর স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানার পুলিশকে বলা হয় তৌহিদুল ইসলামকে নেয়ার জন্য। যখন পুলিশের কাছে তৌহিদুলকে হস্তান্তর করা হয়, তখন তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কিভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে খোঁজ নিয়ে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোন মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাদিকুর রহমান দৈনিক যখন সময়কে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাঁরা বাবার কুলখানির আয়োজন নিয়ে কাজ করছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখেননি, তবে সাদা পোশাকে পাঁচজন যুবক ছিলেন। বাড়িতে প্রবেশ করেই তাঁরা তৌহিদুল কে আটক করেন। তারপর সবার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেন। ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন তবে কিছুই পাননি। তৌহিদুল কে আটকের কারণ জিজ্ঞাস করলেও তাঁরা কোন উত্তর দেননি। এক পর্যায়ে তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যান।
শুক্রবার সকালে আবারও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে এসে ব্যাপক তল্লাশি করেন উল্লেখ করে সাদেকুর রহমান বলেন তখনও কিছুই পাননি। সকালেও তৌহিদুর তাঁদের গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে গাড়ি থেকে নামানো হয়নি। দূর থেকে তাঁকে নিস্তেজ জন মনে হচ্ছিল।