ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আনছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন। শাহজাহানপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজল আটক খোকসা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকা উপজেলা পেছনে দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলিত অবস্থায়। সহকারী শিক্ষক দ্বারা নারী প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য তিস্তা প্রকল্প সংলগ্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ১২ একর জায়গা খোঁজা হচ্ছে: তিস্তাপাড়ে চীনের হাসপাতাল স্থাপনের দাবি নদীভাঙনকবলিত মানুষের চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধ*র্ষণের অভিযোগে বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুড়িগ্রামে ৪৭ কেজিসহ দুইজন আটক ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রংপুরে আধাবেলা ধর্মঘট পালিত : ফিলিস্তিনে শহীদদের জন্য দোয়াসহ ইসরাইলি সব পণ্য বয়কটের ডাক টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশে পরিত্যক্ত হাতবোমা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ২৫ জন আহত শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা সনদ ও চেক হস্তান্তর

কালে কালে প্রতি কারবালার পরে ইসলাম জেগে ওঠে বারে বারে।

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমাদের শরীরের কোন অঙ্গে জখম হয়েছে, আর আমরা তার খোঁজ রাখি না,শুশ্রূষা করি না- এমনটাও কি কখনো সম্ভব? কিন্তু আমরা তা সম্ভব করে নিয়েছি। আজ মুসলিম জাহানের মানচিত্র ভাসছে সান্ত্বনাশূন্য অশ্রু আর রক্তের তীব্র স্রোতে। মিডিয়া ও পত্রিকার পাতা ওল্টালে চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে মুসলিমদের নির্যাতনের চিত্র, তবু আমরা নির্বিকার।

শহীদের রক্তে মুসলিম জনপদগুলো বারবার ভিজে গেলেও আমরা বিজয়কে আলিঙ্গন করতে পারছি না। বরং মিল্লাতের সম্মিলিত তাসবিহকে ছিন্নভিন্ন করে দানাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে আমরা পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে বসে আছি। শাশ্বত দীনের দাবিকে পদদলিত করে কামনার দাবিকে আমামা বানিয়ে আমরা বেঈমানের কাছে ধরনা দিচ্ছি, লাঞ্ছিত হচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত খর্ব হয়ে চলেছি।

কিন্তু মুসলিম জাতির ইতিহাসের শিক্ষা তো এটা ছিলো না। ইতিহাস শিখিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে কীভাবে বারবার গজিয়ে ওঠে ইসলামের চারা। তমসাচ্ছন্ন মৃত্যুর উপত্যকায়ও ইসলাম বেঁচে থাকে আপন মহিমায়। কারণ, ধ্বংস হওয়ার মতো ধর্ম আর অনুসারী ইসলামের নয়। ইসলাম যেমন শাশ্বত, তেমনি চিরন্তন এর বাহকেরা। আল্লাহ তাঁর দীনের আলোকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। ইতিহাস সাক্ষী, তাতারীদের বর্বর হামলায় মুসলিমজাহান যখন রক্তের সাগরে ডুবে গিয়েছিলো, সেই সাগরে ভেসে ভেসেই ইসলাম আবারও পৌঁছে গেছে জীবনের বন্দরে। নতুন করে আবার জেগে ওঠেছে মুসলিম জাহান। আবারও সভ্যতা গড়ে তুলেছে

ইসলাম। এভাবেই। যুগে যুগে মৃত্যুর অমানিশায় জীবনের মিছিল। নিয়ে হাজির হয়েছে ইসলাম। এই উম্মাহ চিরন্তন উম্মাহ। এই উম্মাহর টিকে থাকার ওপর নির্ভর করে ধরণীর ভবিষ্যৎ। কে ভয় দেখাতে চায় এই উম্মাহকে? কে বলে উচ্ছেদ করবে তাদের সমূলে? সে উন্মাদ। কোনো উন্মাদের প্রলাপ শোনা আমাদের কাজ নয়। আমাদের অস্তিত্বে নিখিল মানবতা, আমাদের চেতনায় মুহাম্মাদী নবুওয়ত, আমাদের অঙ্গীকারে গোটা জাহানের আমানত, আমাদের দায়িত্ব তাই জগতের খেলাফত। মহান সেই দায়িত্বে পালনের আগে একটি মুহূর্তের জন্যও আমরা থামতে চাই না। জীবনের অভিযাত্রায় মানুষের মহিমার উজ্জ্বল মিনারে খায়রুল কুরুনের আযান হাঁকার আগে আমরা বিরতির কোন নিঃশ্বাস নেব না। তাবৎ নিপীড়িত মুসলমানের বিজয়ের মুজদা না শুনে আমরা ক্ষান্ত হবো না। শাইখ ওসমা বিন লাদেনের হুংকারে পশ্চিম ইহুদিদের আতঙ্কে কাঁপানো যে মুজদা আমরা শুনছি, এর ধারাবাহিকতাময়। মহীর তাবৎ দখলদার, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কবর রচনা করে ইনসাফ ও আদালাত প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বও ক্ষান্ত হবে না।

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
লেখক,শিক্ষার্থী,
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালে কালে প্রতি কারবালার পরে ইসলাম জেগে ওঠে বারে বারে।

আপডেট সময় : ১২:৪১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমাদের শরীরের কোন অঙ্গে জখম হয়েছে, আর আমরা তার খোঁজ রাখি না,শুশ্রূষা করি না- এমনটাও কি কখনো সম্ভব? কিন্তু আমরা তা সম্ভব করে নিয়েছি। আজ মুসলিম জাহানের মানচিত্র ভাসছে সান্ত্বনাশূন্য অশ্রু আর রক্তের তীব্র স্রোতে। মিডিয়া ও পত্রিকার পাতা ওল্টালে চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে মুসলিমদের নির্যাতনের চিত্র, তবু আমরা নির্বিকার।

শহীদের রক্তে মুসলিম জনপদগুলো বারবার ভিজে গেলেও আমরা বিজয়কে আলিঙ্গন করতে পারছি না। বরং মিল্লাতের সম্মিলিত তাসবিহকে ছিন্নভিন্ন করে দানাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে আমরা পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে বসে আছি। শাশ্বত দীনের দাবিকে পদদলিত করে কামনার দাবিকে আমামা বানিয়ে আমরা বেঈমানের কাছে ধরনা দিচ্ছি, লাঞ্ছিত হচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত খর্ব হয়ে চলেছি।

কিন্তু মুসলিম জাতির ইতিহাসের শিক্ষা তো এটা ছিলো না। ইতিহাস শিখিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে কীভাবে বারবার গজিয়ে ওঠে ইসলামের চারা। তমসাচ্ছন্ন মৃত্যুর উপত্যকায়ও ইসলাম বেঁচে থাকে আপন মহিমায়। কারণ, ধ্বংস হওয়ার মতো ধর্ম আর অনুসারী ইসলামের নয়। ইসলাম যেমন শাশ্বত, তেমনি চিরন্তন এর বাহকেরা। আল্লাহ তাঁর দীনের আলোকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। ইতিহাস সাক্ষী, তাতারীদের বর্বর হামলায় মুসলিমজাহান যখন রক্তের সাগরে ডুবে গিয়েছিলো, সেই সাগরে ভেসে ভেসেই ইসলাম আবারও পৌঁছে গেছে জীবনের বন্দরে। নতুন করে আবার জেগে ওঠেছে মুসলিম জাহান। আবারও সভ্যতা গড়ে তুলেছে

ইসলাম। এভাবেই। যুগে যুগে মৃত্যুর অমানিশায় জীবনের মিছিল। নিয়ে হাজির হয়েছে ইসলাম। এই উম্মাহ চিরন্তন উম্মাহ। এই উম্মাহর টিকে থাকার ওপর নির্ভর করে ধরণীর ভবিষ্যৎ। কে ভয় দেখাতে চায় এই উম্মাহকে? কে বলে উচ্ছেদ করবে তাদের সমূলে? সে উন্মাদ। কোনো উন্মাদের প্রলাপ শোনা আমাদের কাজ নয়। আমাদের অস্তিত্বে নিখিল মানবতা, আমাদের চেতনায় মুহাম্মাদী নবুওয়ত, আমাদের অঙ্গীকারে গোটা জাহানের আমানত, আমাদের দায়িত্ব তাই জগতের খেলাফত। মহান সেই দায়িত্বে পালনের আগে একটি মুহূর্তের জন্যও আমরা থামতে চাই না। জীবনের অভিযাত্রায় মানুষের মহিমার উজ্জ্বল মিনারে খায়রুল কুরুনের আযান হাঁকার আগে আমরা বিরতির কোন নিঃশ্বাস নেব না। তাবৎ নিপীড়িত মুসলমানের বিজয়ের মুজদা না শুনে আমরা ক্ষান্ত হবো না। শাইখ ওসমা বিন লাদেনের হুংকারে পশ্চিম ইহুদিদের আতঙ্কে কাঁপানো যে মুজদা আমরা শুনছি, এর ধারাবাহিকতাময়। মহীর তাবৎ দখলদার, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কবর রচনা করে ইনসাফ ও আদালাত প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বও ক্ষান্ত হবে না।

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
লেখক,শিক্ষার্থী,
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর