ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু কুড়িগ্রামে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন খোকসায় কাদিরপুরে বিশেষ অভিযানে ১৮ পিছ ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার। সারা দেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে লংমার্চ করেছে কৃষক ঐক্য পরিষদ : রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ : স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে সর্বস্ব হারালেন গৃহবধূ যশোরে জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী থানার গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফেনী ফুলগাজীতে ভারতীয় পণ্য চকলেটসহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ও ঔষধ বিতরণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি নির্মাণ প্রকল্প বাতিল।

ষড়যন্ত্রের করে লাভ নাই , সরকারকে জামায়াতের জেলা আমির নুরুল ইসলাম

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় জেলা শহরের আজাদী ময়দানে কারাবন্দি মজলুম জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও জেলা আমির নুরুল ইসলাম বলেন, অনতিবিলম্বে আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুরল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের প্রতীক ফিরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া যারা শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দিতে হবে।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বলেন, গত ২০১১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জামিন পেলেও দীর্ঘ ১৩ বছর ৫ মাস ২৯ দিন তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে যে মামলাটি ছিল সেটি সাজানো, মিথ্যা ও বানোয়াট। সেই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। এ রায় দেশবাসী মানে না। আজকে বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের সব মানুষ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আশা করেছিল অতি দ্রুত এই মিথ্যা রায় থেকে আমাদের সংগ্রামী জননেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। দীর্ঘ ৬ মাস পার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা অন্যান্য মৃত্যুদণ্ড ও ফাঁসির আসামিকেও মুক্তি দিলেও আমাদের নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়নি। আমরা এখানে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সরকারের অধীনে এই প্রথম বড় পরিসরে রাজপথে নেমেছে। আমরা আজহারুল ভাইয়ের মুক্তির দাবি করছি। অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। শুধু তাকেই নয় এই ১৭ বছরে সারা বাংলাদেশে যে মামলাগুলোতে রায় দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে সেগুলো থেকেও নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। যেই ৫০ হাজার মামলা হয়েছে সেসব মামলা থেকে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি দিতে হবে। মামলাগুলো বাতিল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এখনো আমাদের কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে হয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলো থেকে এখনো আমাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। এই সব মিথ্যা মামলা বাতিল করতে হবে। এদেশের মানুষ সন্ত্রাস চায় না। এদেশের মানুষ দুর্নীতি চায় না। এদেশের মানুষ সুদ ঘুষ চায় না। এ দেশের মানুষ একটি কল্যাণক রাষ্ট্র চায়। একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র চায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই দেশের মানুষের আশা ভরসারস্থল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না। এদেশের মানুষ জমায়াতে ইসলামীকে আস্থার স্থল মনে করে। আসুন আমরা বাংলাদেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির হাসমত আলী হাওলাদার, সেক্রেটারি আলিমুজ্জামান, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা সৈয়দ আহম্মেদ, ইসলামি ছাত্র শিবির জেলা শাখার সভাপতি মো. আবু তাহের প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জেলা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ষড়যন্ত্রের করে লাভ নাই , সরকারকে জামায়াতের জেলা আমির নুরুল ইসলাম

আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় জেলা শহরের আজাদী ময়দানে কারাবন্দি মজলুম জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও জেলা আমির নুরুল ইসলাম বলেন, অনতিবিলম্বে আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুরল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের প্রতীক ফিরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া যারা শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দিতে হবে।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বলেন, গত ২০১১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জামিন পেলেও দীর্ঘ ১৩ বছর ৫ মাস ২৯ দিন তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে যে মামলাটি ছিল সেটি সাজানো, মিথ্যা ও বানোয়াট। সেই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। এ রায় দেশবাসী মানে না। আজকে বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের সব মানুষ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আশা করেছিল অতি দ্রুত এই মিথ্যা রায় থেকে আমাদের সংগ্রামী জননেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। দীর্ঘ ৬ মাস পার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা অন্যান্য মৃত্যুদণ্ড ও ফাঁসির আসামিকেও মুক্তি দিলেও আমাদের নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়নি। আমরা এখানে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সরকারের অধীনে এই প্রথম বড় পরিসরে রাজপথে নেমেছে। আমরা আজহারুল ভাইয়ের মুক্তির দাবি করছি। অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। শুধু তাকেই নয় এই ১৭ বছরে সারা বাংলাদেশে যে মামলাগুলোতে রায় দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে সেগুলো থেকেও নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। যেই ৫০ হাজার মামলা হয়েছে সেসব মামলা থেকে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি দিতে হবে। মামলাগুলো বাতিল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এখনো আমাদের কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে হয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলো থেকে এখনো আমাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। এই সব মিথ্যা মামলা বাতিল করতে হবে। এদেশের মানুষ সন্ত্রাস চায় না। এদেশের মানুষ দুর্নীতি চায় না। এদেশের মানুষ সুদ ঘুষ চায় না। এ দেশের মানুষ একটি কল্যাণক রাষ্ট্র চায়। একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র চায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই দেশের মানুষের আশা ভরসারস্থল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না। এদেশের মানুষ জমায়াতে ইসলামীকে আস্থার স্থল মনে করে। আসুন আমরা বাংলাদেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির হাসমত আলী হাওলাদার, সেক্রেটারি আলিমুজ্জামান, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা সৈয়দ আহম্মেদ, ইসলামি ছাত্র শিবির জেলা শাখার সভাপতি মো. আবু তাহের প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জেলা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।