ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু কুড়িগ্রামে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন খোকসায় কাদিরপুরে বিশেষ অভিযানে ১৮ পিছ ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার। সারা দেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে লংমার্চ করেছে কৃষক ঐক্য পরিষদ : রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ : স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে সর্বস্ব হারালেন গৃহবধূ যশোরে জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী থানার গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফেনী ফুলগাজীতে ভারতীয় পণ্য চকলেটসহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ও ঔষধ বিতরণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি নির্মাণ প্রকল্প বাতিল।

আয়নাঘর: নিঃশব্দ দেয়ালের পেছনে লুকানো সত্য

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকার রহস্যময় বন্দিশালা আয়নাঘর—একটি নাম, যা দীর্ঘদিন ছিল শুধুই গুজব, ফিসফাসের বিষয়। কিন্তু এখন, যখন এটি প্রকাশ্যে এসেছে, তখন উঠে আসছে ভয়াবহ সব গল্প—গুম, নির্যাতন, নিঃশব্দ মৃত্যু।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন এই গোপন বন্দিশালাটি পরিদর্শন করেন, তখন সেখানে অতীতের নির্দয়তার চিহ্ন মুছে ফেলার সব চেষ্টাই স্পষ্ট ছিল। দেয়ালগুলোর ওপর নতুন রং, মুছে দেওয়া বন্দিদের লেখা, ভেঙে ফেলা বিভাজনগুলো যেন এক ইতিহাসকে গোপন করার ব্যর্থ প্রয়াস।

কিন্তু ইতিহাস কি এত সহজে হারিয়ে যায়?

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দিদের বর্ণনা করা নির্যাতনের কক্ষগুলো অনেকটাই অক্ষত থাকলেও, গুরুত্বপূর্ণ আলামত চিরতরে হারিয়ে গেছে। ব্যবহৃত নির্যাতনের সরঞ্জাম বা গোপন সিসিটিভির ফুটেজের কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে প্রশ্ন ওঠে—কারা এসব মুছে দিল? কেন?

বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর অন্ধকার কক্ষে কাটিয়ে দেওয়া সেই দিনগুলোর কথা। সেখানে সময় থমকে থাকত, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। শুধু নির্যাতন, আরেকটি নতুন দিনের ভয়।

সরকার বলছে, আয়নাঘর সিলগালা থাকবে, তদন্ত চলবে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—এই তদন্ত কি শুধুই লোক দেখানো, নাকি সত্যিকার বিচার হবে? যারা নিখোঁজ হয়েছিল, যারা ফিরেও আসেনি—তাদের স্মৃতি কি এই দেয়ালের রঙের নিচে ঢাকা পড়ে যাবে? নাকি একদিন সত্যের আলোয় উন্মোচিত হবে আয়নাঘরের অন্ধকার অধ্যায়?
সময় দেবে সেই উত্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আয়নাঘর: নিঃশব্দ দেয়ালের পেছনে লুকানো সত্য

আপডেট সময় : ১২:১৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকার রহস্যময় বন্দিশালা আয়নাঘর—একটি নাম, যা দীর্ঘদিন ছিল শুধুই গুজব, ফিসফাসের বিষয়। কিন্তু এখন, যখন এটি প্রকাশ্যে এসেছে, তখন উঠে আসছে ভয়াবহ সব গল্প—গুম, নির্যাতন, নিঃশব্দ মৃত্যু।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন এই গোপন বন্দিশালাটি পরিদর্শন করেন, তখন সেখানে অতীতের নির্দয়তার চিহ্ন মুছে ফেলার সব চেষ্টাই স্পষ্ট ছিল। দেয়ালগুলোর ওপর নতুন রং, মুছে দেওয়া বন্দিদের লেখা, ভেঙে ফেলা বিভাজনগুলো যেন এক ইতিহাসকে গোপন করার ব্যর্থ প্রয়াস।

কিন্তু ইতিহাস কি এত সহজে হারিয়ে যায়?

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দিদের বর্ণনা করা নির্যাতনের কক্ষগুলো অনেকটাই অক্ষত থাকলেও, গুরুত্বপূর্ণ আলামত চিরতরে হারিয়ে গেছে। ব্যবহৃত নির্যাতনের সরঞ্জাম বা গোপন সিসিটিভির ফুটেজের কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে প্রশ্ন ওঠে—কারা এসব মুছে দিল? কেন?

বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর অন্ধকার কক্ষে কাটিয়ে দেওয়া সেই দিনগুলোর কথা। সেখানে সময় থমকে থাকত, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। শুধু নির্যাতন, আরেকটি নতুন দিনের ভয়।

সরকার বলছে, আয়নাঘর সিলগালা থাকবে, তদন্ত চলবে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—এই তদন্ত কি শুধুই লোক দেখানো, নাকি সত্যিকার বিচার হবে? যারা নিখোঁজ হয়েছিল, যারা ফিরেও আসেনি—তাদের স্মৃতি কি এই দেয়ালের রঙের নিচে ঢাকা পড়ে যাবে? নাকি একদিন সত্যের আলোয় উন্মোচিত হবে আয়নাঘরের অন্ধকার অধ্যায়?
সময় দেবে সেই উত্তর।