কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন

- আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর: সীমান্ত ঘেষা উত্তরবঙ্গের জেলা কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই টানা ৬ দিন ধরে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষরা। এছাড়া হিমশীতল বাতাসে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ (২৬ জানুয়ারি) রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, এ রকম শীত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। একই সঙ্গে থাকতে পারে কুয়াশাও।
এদিকে তীব্র শীতে জেলায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। অনেকেই সমস্য নিয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালে
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেত নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে আলু ক্ষতি হবে। এতো কষ্ট করে আবাদ করেছি। ভেবেছিলাম আলুর ফলন ভালো হলে বিক্রি করে ভালো টাকা পাব। এখন দুশ্চিন্তায় আছি। আল্লাহ ভরসা।
একই ইউনিয়নের দিনমজুর আমজাদ হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শীতে হাত পা বরফ হয়ে যায়। আর কাজ না থাকায় কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম জেলার ছিনাই ইউনিয়নের শিরিন আক্তার বলেন, পাতলা চাদর গায়ে দিয়ে আছি। এই কাপড় দিয়া ঠান্ডা থেকে বাঁচা যায় না। একটা কম্বল দিলে ভালো হতো।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. শাহিদ সর্দার জানান, শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে।