ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংঘর্ষে আহত ১২০ জন জামালপুরে অপরাজেয় বাংলাদেশ সেফহোম স্নেহা পরিদর্শন শাজাহানপুরে ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা রহস্য উৎঘাটন ইজিবাইক ও হত্যার আলামত উদ্ধার জামালপুরে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে জামালপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে সনাতনী নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল্লাহ রুবেল অনেকাংশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে শতবছর আগে ব্রিটিশ আমলের রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশনটি মহেশখালী থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন মহিলা দলের আয়োজনে উঠান বৈঠক উত্তর-পশ্চিমে আগাম শীতের পদচারণা ডিসেম্বরেই প্রথম শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত

কুড়িগ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

Reporter
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
LazyLoad Image

কুড়িগ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Print News

স্টাফ রিপোর্টার

একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের। ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর বছরের পর বছর ধরে পাকা সেতুর দাবি করে আসলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোন দফতর। এদিকে ভুক্তভোগীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের ভাঙা সাঁকোর নিচে পাতানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বর্ষা কিংবা খরা, যাতায়াতের দুর্ভোগ নিয়ে দিন কাটছে তাদের।

এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর। এই ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেছেন খালের ওপাড়ে ১৮০টি পরিবারের আবাসন প্রকল্পসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পসহ পাশের গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কে ১৭ বছর আগে খালের ওপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

খালের ওপাড়ে বালাটারি আবাসনের বাসিন্দা সবরি জানায়, কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে। তারপর থেকে আর কোন সাঁকো বা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনকে বার বার বলার পরও কোন কাজ হয়নি। ফলে এই ভাঙা সাঁকোয় জীবন চালাতে হচ্ছে আমাদের এ পাড়ের আবাসনের ১৮০ পরিবারসহ ৫ গ্রামের মানুষের।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানায়, আবাসনে একটি মাদ্রাসা আছে। এই ভাঙা সেতুর কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতে পারে না। তাছাড়া এ এলাকার মানুষজন তাদের পণ্য আনা-নেয়াও করতে পারছে না।

এদিকে সাঁকোর জরাজীর্ণতার কথা স্বীকার করে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনুমা তারান্নুম জানান, জরাজীর্ণ সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ৬০ মিটার দৈর্ঘের কাঠের সাঁকোটি। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাঁকো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Bannar 1

Jonotar Sorkar Banner Bangl 1

Tamplate Govtjob Bn

কুড়িগ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
IMG 20241217 WA0058
Print News

স্টাফ রিপোর্টার

একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের। ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর বছরের পর বছর ধরে পাকা সেতুর দাবি করে আসলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোন দফতর। এদিকে ভুক্তভোগীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের ভাঙা সাঁকোর নিচে পাতানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বর্ষা কিংবা খরা, যাতায়াতের দুর্ভোগ নিয়ে দিন কাটছে তাদের।

এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর। এই ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেছেন খালের ওপাড়ে ১৮০টি পরিবারের আবাসন প্রকল্পসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পসহ পাশের গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কে ১৭ বছর আগে খালের ওপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

খালের ওপাড়ে বালাটারি আবাসনের বাসিন্দা সবরি জানায়, কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে। তারপর থেকে আর কোন সাঁকো বা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনকে বার বার বলার পরও কোন কাজ হয়নি। ফলে এই ভাঙা সাঁকোয় জীবন চালাতে হচ্ছে আমাদের এ পাড়ের আবাসনের ১৮০ পরিবারসহ ৫ গ্রামের মানুষের।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানায়, আবাসনে একটি মাদ্রাসা আছে। এই ভাঙা সেতুর কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতে পারে না। তাছাড়া এ এলাকার মানুষজন তাদের পণ্য আনা-নেয়াও করতে পারছে না।

এদিকে সাঁকোর জরাজীর্ণতার কথা স্বীকার করে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনুমা তারান্নুম জানান, জরাজীর্ণ সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ৬০ মিটার দৈর্ঘের কাঠের সাঁকোটি। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাঁকো।