ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নরসিংদীতে সেতুর নিচে পড়ে ছিল তরুণীর মরদেহ পানি না এলে আন্দোলন চলবেই: আমীর খসরু ঘোড়াঘাটে তাতীঁদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এটিএম আজহার মুক্ত না হওয়ায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক রুহুল আমিন ভুইঁয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর খিদিরপুর কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাই স্কুল পরিদর্শন মনোহরদীতে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই ‘দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা: তিস্তার পানির দাবিতে গণপদযাত্রায় মানুষের ঢল মির্জাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি শ্রমিকদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষকের তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির ডাক: কর্মসূচিতে মানুষের ঢল

রায়পুরায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত: বিচার দাবীতে সহপাঠী ও স্বজনদের মানববন্ধন

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি

রায়পুরায় উপজেলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী টেটা যুদ্ধে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নিহত ৬ ব্যাক্তির হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে রায়পুরা থানার প্রধান গেইটের সামনে ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে নিহতের স্বজন ও সায়দাবাদ স্কুলের ছাত্ররা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ি মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সহ ৬ জন নিহত হয়।

মানববন্ধনে দশম শ্রেনীর ছাত্র সাজিদ মিয়া বলেন, সায়দাবাদ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদকে নৃশংসভাবে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে খুনিরা। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে সে। নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই বলেন, হত্যাকারীদের ভয়ে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারতেছেনা। বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর সহ লুটপাট চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রায়পুরা থানায় নিহত ফিরোজা বেগমের ভাই এরশাদ মিয়া ও নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই ইকবাল বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ির মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইল্লার বাড়ির হামলায় সাহেব বাড়ির ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) এবং একই এলাকার আসাবুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক (২৮)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Quiz

1 / 1

দিনের ঘটনার টুকরো টুকরো প্রতিবেদন জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ?

Your score is

The average score is 0%

0%

রায়পুরায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত: বিচার দাবীতে সহপাঠী ও স্বজনদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি

রায়পুরায় উপজেলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী টেটা যুদ্ধে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নিহত ৬ ব্যাক্তির হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে রায়পুরা থানার প্রধান গেইটের সামনে ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে নিহতের স্বজন ও সায়দাবাদ স্কুলের ছাত্ররা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ি মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সহ ৬ জন নিহত হয়।

মানববন্ধনে দশম শ্রেনীর ছাত্র সাজিদ মিয়া বলেন, সায়দাবাদ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদকে নৃশংসভাবে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে খুনিরা। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে সে। নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই বলেন, হত্যাকারীদের ভয়ে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারতেছেনা। বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর সহ লুটপাট চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রায়পুরা থানায় নিহত ফিরোজা বেগমের ভাই এরশাদ মিয়া ও নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই ইকবাল বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ির মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইল্লার বাড়ির হামলায় সাহেব বাড়ির ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) এবং একই এলাকার আসাবুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক (২৮)।