ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়া শেরপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌরবাসী সহ পথচারীরা।

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার শেরপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের মাত্রাতিরিক্ত উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পথচারীরা। দিন ও রাতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে, ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে ও বাজার এলাকাগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেশি হওয়ায় পথচারীদের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। এসব কুকুরের কামড় ও আচড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

এসব কুকুরের উৎপাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের বাধা প্রয়োগ হচ্ছে। শিশু কিশোর ভয়ে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নামাজে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মুসল্লিদের কাপড় অপবিত্র করে ফেলছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসুস্থ রোগী সকাল বিকাল হাঁটাচলা ব্যাঘাত ঘটছে, বিশেষ করে ভোরবেলা ডায়াবেটিস রোগীদের হাটা চলা করার সময় এসব বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

সন্ধ্যার পর একা সড়কে বের হলেই ধাওয়া খেতে হচ্ছে এসব বেওয়ারিশ কুকুরের। সাইকেল, মোটরসাইকেল দেখলেই দল বেঁধে ধাওয়া করছে। এছাড়া একদিকে কুকুর কামড়ানোর আশঙ্কা অন্যদিকে রাতের বেলায় সংঘবদ্ধ কুকুর দলের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।

বাংলা সনের আশ্বিন কার্তিক মাস কুকুরের প্রজনন সময় কাল। এ সময় কুকুরগুলো তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে মিলনের জন্য চরম হিংস্র হয়ে ওঠে। বর্তমান পৌরসভার বেওয়ারিস কুকুরগুলো উপদ্রব এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে, দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নিলে এসব কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই সুযোগ্য পৌর মেয়র সহ কর্তৃপক্ষ এইসব বেওয়ারিশ কুকুরদের উপদ্রব থেকে রক্ষা করে পৌরবাসী সহ পথচারীদের নির্বিঘ্নে পথ চলা সুগম করে দিবে বলে মনে করছে অনেকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বগুড়া শেরপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌরবাসী সহ পথচারীরা।

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বগুড়ার শেরপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের মাত্রাতিরিক্ত উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পথচারীরা। দিন ও রাতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে, ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে ও বাজার এলাকাগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেশি হওয়ায় পথচারীদের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। এসব কুকুরের কামড় ও আচড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

এসব কুকুরের উৎপাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের বাধা প্রয়োগ হচ্ছে। শিশু কিশোর ভয়ে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নামাজে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মুসল্লিদের কাপড় অপবিত্র করে ফেলছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসুস্থ রোগী সকাল বিকাল হাঁটাচলা ব্যাঘাত ঘটছে, বিশেষ করে ভোরবেলা ডায়াবেটিস রোগীদের হাটা চলা করার সময় এসব বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

সন্ধ্যার পর একা সড়কে বের হলেই ধাওয়া খেতে হচ্ছে এসব বেওয়ারিশ কুকুরের। সাইকেল, মোটরসাইকেল দেখলেই দল বেঁধে ধাওয়া করছে। এছাড়া একদিকে কুকুর কামড়ানোর আশঙ্কা অন্যদিকে রাতের বেলায় সংঘবদ্ধ কুকুর দলের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।

বাংলা সনের আশ্বিন কার্তিক মাস কুকুরের প্রজনন সময় কাল। এ সময় কুকুরগুলো তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে মিলনের জন্য চরম হিংস্র হয়ে ওঠে। বর্তমান পৌরসভার বেওয়ারিস কুকুরগুলো উপদ্রব এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে, দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নিলে এসব কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই সুযোগ্য পৌর মেয়র সহ কর্তৃপক্ষ এইসব বেওয়ারিশ কুকুরদের উপদ্রব থেকে রক্ষা করে পৌরবাসী সহ পথচারীদের নির্বিঘ্নে পথ চলা সুগম করে দিবে বলে মনে করছে অনেকেই।