ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংঘর্ষে আহত ১২০ জন জামালপুরে অপরাজেয় বাংলাদেশ সেফহোম স্নেহা পরিদর্শন শাজাহানপুরে ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা রহস্য উৎঘাটন ইজিবাইক ও হত্যার আলামত উদ্ধার জামালপুরে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে জামালপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে সনাতনী নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল্লাহ রুবেল অনেকাংশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে শতবছর আগে ব্রিটিশ আমলের রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশনটি মহেশখালী থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন মহিলা দলের আয়োজনে উঠান বৈঠক উত্তর-পশ্চিমে আগাম শীতের পদচারণা ডিসেম্বরেই প্রথম শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত

ছেলের লাগানো আগুনে সর্বস্বান্ত হলো আলমডাঙ্গার খলিলুর রহমান। পুড়ে ছাই মেয়ের বইখাতা

Reporter
হুমায়ন আহমেদ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
LazyLoad Image

ছেলের লাগানো আগুনে সর্বস্বান্ত হলো আলমডাঙ্গার খলিলুর রহমান। পুড়ে ছাই মেয়ের বইখাতা

দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Print News

তীব্র তাপদাহে পড়ছে চুয়াডাঙ্গা। সামান্য একটু আগুনের আভাস পেলে মুহূর্তের মধ্যেই দমকে উঠছে সেই আগুন। এবার বসতভিটা পুড়ে ছাই হলো দিনমজুর খলিলুর রহমানের। খলিলুর রহমান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা বাজার পাড়ার বাসিন্দা। আজ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি। পরনের কাপড় আর শোকেসের মধ্যে থাকা কয়েকটি থালা-বাসন ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। পুড়ে ছাই হয়েছে ক্লাস নাইনে পড়ুয়া লামিয়ার সমস্ত বই-পুস্তিক ও পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফ।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে খলিলুর রহমানের স্ত্রী বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমার প্রতিবন্ধী ছেলে সাঈম(৬) খেলার ছলে ঘরের ব্যারে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই সময় রৌদ্রের তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি যার কারণে মুহূর্তেই পুরো ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে।
এখন আমার নিজেদের বলে আর কিছু নেই। আমাদের অর্থনীতি সচ্ছলতা নেই। আমার স্বামী দিনমজুর, দিন আনি দিন খাই। আমি আপনার মাধ্যমে সকল হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্য পাওয়া পত্যাশা করছি।
খলিলুর রহমানের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করি। আমার বইখাতা সব পুড়ে গেছে। আমি রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি। আমার বইখাতার সাথে কোরআন শরীফ ছিল সেটাও পুড়ে গেছে। এখন আমার পিতার পক্ষে সম্ভব নয় যে আমাকে আবার নতুন বই ড্রেস ও যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে আমাকে পড়াবে। আমি সাহায্য চাই। তা না হলে আমার পড়াশোনা হয়ত এখানেই থেমে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খলিল একজন সরল সোজা মানুষ। দিন আনে দিন খায়। আমরা আগুনে তার ঘর পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছি কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Bannar 1

Jonotar Sorkar Banner Bangl 1

Tamplate Govtjob Bn

ছেলের লাগানো আগুনে সর্বস্বান্ত হলো আলমডাঙ্গার খলিলুর রহমান। পুড়ে ছাই মেয়ের বইখাতা

আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
20230417 133733
Print News

তীব্র তাপদাহে পড়ছে চুয়াডাঙ্গা। সামান্য একটু আগুনের আভাস পেলে মুহূর্তের মধ্যেই দমকে উঠছে সেই আগুন। এবার বসতভিটা পুড়ে ছাই হলো দিনমজুর খলিলুর রহমানের। খলিলুর রহমান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা বাজার পাড়ার বাসিন্দা। আজ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি। পরনের কাপড় আর শোকেসের মধ্যে থাকা কয়েকটি থালা-বাসন ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। পুড়ে ছাই হয়েছে ক্লাস নাইনে পড়ুয়া লামিয়ার সমস্ত বই-পুস্তিক ও পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফ।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে খলিলুর রহমানের স্ত্রী বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমার প্রতিবন্ধী ছেলে সাঈম(৬) খেলার ছলে ঘরের ব্যারে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই সময় রৌদ্রের তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি যার কারণে মুহূর্তেই পুরো ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে।
এখন আমার নিজেদের বলে আর কিছু নেই। আমাদের অর্থনীতি সচ্ছলতা নেই। আমার স্বামী দিনমজুর, দিন আনি দিন খাই। আমি আপনার মাধ্যমে সকল হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্য পাওয়া পত্যাশা করছি।
খলিলুর রহমানের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করি। আমার বইখাতা সব পুড়ে গেছে। আমি রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি। আমার বইখাতার সাথে কোরআন শরীফ ছিল সেটাও পুড়ে গেছে। এখন আমার পিতার পক্ষে সম্ভব নয় যে আমাকে আবার নতুন বই ড্রেস ও যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে আমাকে পড়াবে। আমি সাহায্য চাই। তা না হলে আমার পড়াশোনা হয়ত এখানেই থেমে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খলিল একজন সরল সোজা মানুষ। দিন আনে দিন খায়। আমরা আগুনে তার ঘর পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছি কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি।