ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নরসিংদীতে সেতুর নিচে পড়ে ছিল তরুণীর মরদেহ পানি না এলে আন্দোলন চলবেই: আমীর খসরু ঘোড়াঘাটে তাতীঁদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এটিএম আজহার মুক্ত না হওয়ায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক রুহুল আমিন ভুইঁয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর খিদিরপুর কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাই স্কুল পরিদর্শন মনোহরদীতে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই ‘দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা: তিস্তার পানির দাবিতে গণপদযাত্রায় মানুষের ঢল মির্জাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি শ্রমিকদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষকের তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির ডাক: কর্মসূচিতে মানুষের ঢল

গবিতে ক্যান্টিনের মানোন্নয়নে দাবিতে স্মারকলিপি

মোঃ জনি শিকদার, গবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ জনি শিকদার, গবি প্রতিনিধিঃ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়(গবি) এর যাত্রা প্রায় ২৫ বছর হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারে নেই কোন সুব্যবস্থা। প্রতিনিয়ত মানহীন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। উচ্চমূল্যের খাবারের সঙ্গে পরিমাণের অসামঞ্জস্যতায় জর্জরিত প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি, খাবারের এমন অব্যবস্থনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় খাবারের মানোন্নয়ন সহ ৯য় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে ৯য় দফা দাবী নিয়ে সমবেত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাবারের দাম নির্ধারণ সহ তাদের দাবি গুলো তুলে ধরেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
১. বিভিন্ন পদের খাবার সংযুক্ত করা।
২. ক্যান্টিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. সকালের নাস্তার সময় বাড়ানো।
৪. পর্যাপ্ত খাবার তৈরি রাখা।
৫. মুরগি খিচুড়ি -৬০টাকা
৬.ডিম খিচুড়ি- ৪০ টাকা।
৭. খাবারের দামের সাথে পরিমাণের সামঞ্জস্য রাখা।
৮. ৩০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা। (ভাত+ ডাল+সবজি/ডিম)
৯. সিঙ্গারা, সমুচা ও পাকরার সাইজ বৃদ্ধি।

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ক্যান্টিন পরিচালক বলেন, ‘আমাকে ৭ দিনের সময় দিতে হবে আমি সব কিছু গুছিয়ে নিচ্ছি আপনাদের যা যা দাবি আছে আমি সব পূরন করবো কিন্তু ৫,৬ নং পর্যালোচনা সাপেক্ষে পূরন করার চেষ্টা করবো ।’

আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যারা দুর থেকে আসি ক্যান্টিন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিক দিয়ে আমাদের ক্যান্টিন আমাদের কোনো কাজে আসে না। এখানে খাবারের মান খুবই খারাপ, পরিমাণেও দেওয়া হয় কম। যার ফলে বেশিরভাগ সময় বাহির থেকে খেতে হয়। ক্যান্টিন যদি আমাদের কাজে না লাগে বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ক্যান্টিনের খাবারের মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সিনিয়র সহকারী রেজিস্টার বরাবর গণ স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দেন। কিন্তু আশানুরূপ কোনো কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন এবং ৭ দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ক্যান্টিনে তালা দেওয়া হবে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Quiz

1 / 1

দিনের ঘটনার টুকরো টুকরো প্রতিবেদন জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ?

Your score is

The average score is 0%

0%

গবিতে ক্যান্টিনের মানোন্নয়নে দাবিতে স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোঃ জনি শিকদার, গবি প্রতিনিধিঃ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়(গবি) এর যাত্রা প্রায় ২৫ বছর হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারে নেই কোন সুব্যবস্থা। প্রতিনিয়ত মানহীন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। উচ্চমূল্যের খাবারের সঙ্গে পরিমাণের অসামঞ্জস্যতায় জর্জরিত প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি, খাবারের এমন অব্যবস্থনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় খাবারের মানোন্নয়ন সহ ৯য় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে ৯য় দফা দাবী নিয়ে সমবেত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাবারের দাম নির্ধারণ সহ তাদের দাবি গুলো তুলে ধরেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
১. বিভিন্ন পদের খাবার সংযুক্ত করা।
২. ক্যান্টিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. সকালের নাস্তার সময় বাড়ানো।
৪. পর্যাপ্ত খাবার তৈরি রাখা।
৫. মুরগি খিচুড়ি -৬০টাকা
৬.ডিম খিচুড়ি- ৪০ টাকা।
৭. খাবারের দামের সাথে পরিমাণের সামঞ্জস্য রাখা।
৮. ৩০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা। (ভাত+ ডাল+সবজি/ডিম)
৯. সিঙ্গারা, সমুচা ও পাকরার সাইজ বৃদ্ধি।

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ক্যান্টিন পরিচালক বলেন, ‘আমাকে ৭ দিনের সময় দিতে হবে আমি সব কিছু গুছিয়ে নিচ্ছি আপনাদের যা যা দাবি আছে আমি সব পূরন করবো কিন্তু ৫,৬ নং পর্যালোচনা সাপেক্ষে পূরন করার চেষ্টা করবো ।’

আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যারা দুর থেকে আসি ক্যান্টিন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিক দিয়ে আমাদের ক্যান্টিন আমাদের কোনো কাজে আসে না। এখানে খাবারের মান খুবই খারাপ, পরিমাণেও দেওয়া হয় কম। যার ফলে বেশিরভাগ সময় বাহির থেকে খেতে হয়। ক্যান্টিন যদি আমাদের কাজে না লাগে বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ক্যান্টিনের খাবারের মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সিনিয়র সহকারী রেজিস্টার বরাবর গণ স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দেন। কিন্তু আশানুরূপ কোনো কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন এবং ৭ দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ক্যান্টিনে তালা দেওয়া হবে জানান তারা।