ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রূপগঞ্জে ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ গংগাচড়ায় গৃহবধূ সালেহা হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন, একজনের ১ বছর ও ৩ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ গ্রেফতার বগুড়া শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ শেওড়াপাড়ায় জোড়া খুন: কিশোরের দায় স্বীকার কাউনিয়ায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয় নিহতদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১ জন, শিশু ১ জন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে এনসিপির বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বপ্ন হলো বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ – শিবির সেক্রেটারী সাদ্দাম সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার , নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে প্রশাসনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আব্দুল রাজ্জাকের ভূমিকা অপরিসীম

জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে ‘ব্যবহার’ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ বাহিনী যেন কোনোভাবে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দা ডেইলি স্টারে প্রকাশিত খবরে এমনটি জানা গেছে

মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়—এ জন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। একই সঙ্গে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভোটাররা যেন ভয়হীন ও নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।”

তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “মনে রাখবেন, অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে কেউ নির্বাচিত হলে, তার দ্বারা কখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই কেউ যেন আপনাদেরকে ব্যবহার করতে না পারে, সেই সতর্কতা আপনাদেরই নিতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই হবে প্রকৃত দায়িত্ব পালন।”

পুলিশ-জনগণের সম্পর্ক বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “বিগত ১৬ বছরে পুলিশ ও জনগণের মাঝে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে আনা এখন সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই দূরত্ব কমাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মানুষ যেন পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে—সেই পরিবেশ তৈরি করতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরে পুলিশ সদস্যদের জনবিশ্বাস অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”

পুলিশ বাহিনীর সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “তৃণমূল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ধারা আরও বেগবান করা হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে ‘ব্যবহার’ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ মকবুলার রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ বাহিনী যেন কোনোভাবে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দা ডেইলি স্টারে প্রকাশিত খবরে এমনটি জানা গেছে

মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়—এ জন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। একই সঙ্গে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভোটাররা যেন ভয়হীন ও নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।”

তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “মনে রাখবেন, অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে কেউ নির্বাচিত হলে, তার দ্বারা কখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই কেউ যেন আপনাদেরকে ব্যবহার করতে না পারে, সেই সতর্কতা আপনাদেরই নিতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই হবে প্রকৃত দায়িত্ব পালন।”

পুলিশ-জনগণের সম্পর্ক বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “বিগত ১৬ বছরে পুলিশ ও জনগণের মাঝে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে আনা এখন সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই দূরত্ব কমাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মানুষ যেন পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে—সেই পরিবেশ তৈরি করতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরে পুলিশ সদস্যদের জনবিশ্বাস অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”

পুলিশ বাহিনীর সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “তৃণমূল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ধারা আরও বেগবান করা হবে।”