ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রূপগঞ্জে ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ গংগাচড়ায় গৃহবধূ সালেহা হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন, একজনের ১ বছর ও ৩ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ গ্রেফতার বগুড়া শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ শেওড়াপাড়ায় জোড়া খুন: কিশোরের দায় স্বীকার কাউনিয়ায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয় নিহতদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১ জন, শিশু ১ জন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে এনসিপির বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বপ্ন হলো বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ – শিবির সেক্রেটারী সাদ্দাম সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার , নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে প্রশাসনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আব্দুল রাজ্জাকের ভূমিকা অপরিসীম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চলাচলের একটি রাস্তায় বেড়া দিয়ে বন্ধ করায় ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

আরমান হোসেন রাজু, রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আরমান হোসেন রাজু, রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি:

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর সেকান্তর গ্রামের আজাদ মেম্বারের বাড়ির পাশে হেকিমের বাড়িতে। বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ রয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছে ওই বাড়ির প্রভাবশালী নুর আলমের ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ারসহ চার ভাইকে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হেকিমের বাড়ির নুর আলমের ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ারের সাথে একই বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলের নুরুল আমিনের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে নুর আলমের চার ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ার মিলে গতকাল বুধবার সকালে বাড়ির রাস্তার দুটি স্থানে মাটি গর্ত করে গাছের ডাল পুঁতে কাঠ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে বুধবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকার ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ১৩ পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধাসহ প্রায় ৮০ জন মানুষ বেকায়দায় পড়ে।

অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার, আনোয়ারসহ চার ভাই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোক পরিচয় দিয়ে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এ ছাড়া বহিরাগত ক্যাডার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখেন তারা। ৩০ বছরের ব্যবহারিত রাস্তাটি এখন তারা সম্পূর্ণ গায়ে জোরে বন্ধ করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নুরুল আমিন বলেন, রাস্তার দুটি স্থান বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করা যাচ্ছে না। তারা দেশের আইন-কানুন কিছুই মানেন না এবং সামাজিকভাবে কাউকে তোয়াক্কাও করছেন না।

অভিযুক্ত বেলাল ড্রাইভার বলেন, ‘এ ঘটনার আগে একবার আমাদের মালামাল নিয়ে গাড়ি এলে নুরুল আমিন তার জায়গা দিয়ে গাড়ি ঢুকতে দেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এবার পথ বন্ধ করে দিয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘যতই বিরোধ থাকুক, মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

খোঁজ খবর নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চলাচলের একটি রাস্তায় বেড়া দিয়ে বন্ধ করায় ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

আরমান হোসেন রাজু, রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি:

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর সেকান্তর গ্রামের আজাদ মেম্বারের বাড়ির পাশে হেকিমের বাড়িতে। বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ রয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছে ওই বাড়ির প্রভাবশালী নুর আলমের ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ারসহ চার ভাইকে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হেকিমের বাড়ির নুর আলমের ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ারের সাথে একই বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলের নুরুল আমিনের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে নুর আলমের চার ছেলে বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার ও আনোয়ার মিলে গতকাল বুধবার সকালে বাড়ির রাস্তার দুটি স্থানে মাটি গর্ত করে গাছের ডাল পুঁতে কাঠ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে বুধবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকার ১৩ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ১৩ পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধাসহ প্রায় ৮০ জন মানুষ বেকায়দায় পড়ে।

অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, বেলাল ড্রাইভার, হেলাল, দেলোয়ার, আনোয়ারসহ চার ভাই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোক পরিচয় দিয়ে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এ ছাড়া বহিরাগত ক্যাডার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখেন তারা। ৩০ বছরের ব্যবহারিত রাস্তাটি এখন তারা সম্পূর্ণ গায়ে জোরে বন্ধ করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নুরুল আমিন বলেন, রাস্তার দুটি স্থান বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করা যাচ্ছে না। তারা দেশের আইন-কানুন কিছুই মানেন না এবং সামাজিকভাবে কাউকে তোয়াক্কাও করছেন না।

অভিযুক্ত বেলাল ড্রাইভার বলেন, ‘এ ঘটনার আগে একবার আমাদের মালামাল নিয়ে গাড়ি এলে নুরুল আমিন তার জায়গা দিয়ে গাড়ি ঢুকতে দেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এবার পথ বন্ধ করে দিয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘যতই বিরোধ থাকুক, মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

খোঁজ খবর নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’