ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ” সফল করতে যৌথসভা। রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত চন্দ্রগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ আগের বিদ্যুৎ বিল চেয়ে বর্তমান বিদ্যুত বিল তুলনা মূলকভাবে বেশী নিচ্ছেন অনেক গ্রহকের অভিযোগ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে ‘ব্যবহার’ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ: কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের বেগমগঞ্জের ০৫ নং ছয়ানীতে ছাত্রদল কর্মীদের হাতে খুন হলো যুবদল কর্মী, আটক ৩ রাজধানী ঢাকা যাএাবাড়ী-মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্রগ্রামে মহাসড়কের বাসের ধাক্কায় বাইক চালক আহত মনোহরদীতে দুর্বিত্তদের হামলায় বাড়ী-ঘর ও দোকান ভাংচুর এবং নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ ফেনী ছাগলনাইয়ায় মাদক কারবারিদের হামলায় ৫ ডিবি পুলিশ আহত, আটক ৩

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন কেন্দ্র বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বিগত সরকারের আমলে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কপিরাইট অফিসকে কোনঠাসা করে রেখেছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। তার উদাহরণ তিনি বিসিএস ক্যাডারে ১৮ ব্যাচে পরিসংখ্যান ক্যাডারে যোগদান করেন। আইডি নাম্বার-৭৮৯৮। ছাত্রজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকার কারণে এর প্রভাব খাটিয়ে পরিসংখ্যান ক্যাডার পরিবর্তন করে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি নেন। উপসচিব হওয়ার পর তিনি রাজনীতির সাথে পুরো সক্রিয় হয়ে কাজ করেন। শেখ মুজিব ও খুনী হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি প্রতি তিন মাস পরপর শেখ মুজিবের মাজারে গিয়ে জিয়ারত করে আসতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা হওয়ার কারণে তিনি প্রতিনিয়ত ডেপুটি স্পীকার শামসুল ইসলাম টুকুর সাথে সবসময় দেখা করতেন। এমনকি সরকার পতনের পরও তিনি তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার নিজেন ফেসবুকে প্রতিনিয়ত শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিতেন। সরকার পতনের পর তার ফেসবুক আইডি থেকে দ্রুত বিগত সরকার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাসগুলো ডিলেট করে দেন এবং তার ফেসবুক আইডি লক করে রাখেন যাতে করে কেউ ফেসবুকে ঢুকে কোন তথ্য নিতে না পারে।

শুধু তাই না তিনি খুনী হাসিনা সরকারের দূর্নীতিবাজ সাবেক সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদকে দিয়ে ডিও লেটার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তদবির করে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী পন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার আয়ত্বে নিয়ে কপিরাইট অফিসে বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন। তার ভয়ে কেউ কোনপ্রকার অভিযোগ দিতে পারতো না। তার অনুচরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাখিল হলে তিনি গোপনে অভিযোগের নথি বাতিল করে দিতেন। এমনকি খুনী হাসিনা সরকার থাকাকালীন কপিরাইট রেজিস্ট্রারকে কোন প্রকার মান্য না করে সাবেক সচিব খলিল আহমেদের হস্তক্ষেপে ডিডিও অর্থাৎ কপিরাইট অফিসের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা ফজলুল হক নিজের নিকট নিয়ে নেন। তারপর তার ইচ্ছামত কেনাকাটা শুরু করেন। পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ে তার মনমত লোক নিতেন। এমনকি একটি নিরীহ ছেলে ছাত্রদলের সাথে জড়িত থাকার কারণে সামান্য কারণ দেখিয়ে তাকে চাকুরী থেকে ছাটাই করে ফজলুল হক তার ভাগ্নেকে সেই পদে আসীন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কপিরাইট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান যে, ফজলুল হক এ অফিসে আসার পর কপিরাইট অফিসের পরিবেশ দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার ভয়ে কেউ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে না। তৎকালীর রেজিস্ট্রার তার ভয়ে কোনঠাসা হয়ে থাকতেন। কারণ ইতোপূর্বে কপিরাইট অফিসের দূর্নীতি নিয়ে দুইজন কর্মকর্তা -কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিভি মিডিয়া ও পেপার পত্রিকায় খবর আসার পরও তিনি এগুলো তোয়াক্কা না করে তাদেরকে দিয়ে তার অপকর্মের রাজত্ব শুরু করেন। এমনকি কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রেশন শাখার কিছু ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের অনুগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার আয়ত্বে নিয়ে পুরো অফিসে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেন। অন্যদিকে ভিন্ন রাজনীতিতে যারা বিশ্বাসী তাদের তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন এবং হুমকি দেন যে তাদের চাকুরী তিনি খেয়ে ফেলবেন; এমনকি তাদের স্ত্রীদের বিধবা করবেন ও বাচ্চাদের এতিম করে দিবেন।

ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি নিজেকে বৈষম্যের শিকার দেখিয়ে যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার হওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে জোর তদবির করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কপিরাইট অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান যে, আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক যদি কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার হয়ে আসেন তাহলে বাংলাদেশের একমাত্র সৃজনশীল অফিস হিসেবে কপিরাইট অফিসের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এবং অফিসে প্রতিনিয়ত বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে। তাই এরকম ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের দোসরকে দ্রুত কপিরাইট অফিস থেকে অন্যত্র অপসারন করার অনুরোধ জানান।

অভিযোগের বিষয়ে কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন কেন্দ্র বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস

আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বিগত সরকারের আমলে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কপিরাইট অফিসকে কোনঠাসা করে রেখেছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। তার উদাহরণ তিনি বিসিএস ক্যাডারে ১৮ ব্যাচে পরিসংখ্যান ক্যাডারে যোগদান করেন। আইডি নাম্বার-৭৮৯৮। ছাত্রজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকার কারণে এর প্রভাব খাটিয়ে পরিসংখ্যান ক্যাডার পরিবর্তন করে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি নেন। উপসচিব হওয়ার পর তিনি রাজনীতির সাথে পুরো সক্রিয় হয়ে কাজ করেন। শেখ মুজিব ও খুনী হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি প্রতি তিন মাস পরপর শেখ মুজিবের মাজারে গিয়ে জিয়ারত করে আসতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা হওয়ার কারণে তিনি প্রতিনিয়ত ডেপুটি স্পীকার শামসুল ইসলাম টুকুর সাথে সবসময় দেখা করতেন। এমনকি সরকার পতনের পরও তিনি তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার নিজেন ফেসবুকে প্রতিনিয়ত শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিতেন। সরকার পতনের পর তার ফেসবুক আইডি থেকে দ্রুত বিগত সরকার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাসগুলো ডিলেট করে দেন এবং তার ফেসবুক আইডি লক করে রাখেন যাতে করে কেউ ফেসবুকে ঢুকে কোন তথ্য নিতে না পারে।

শুধু তাই না তিনি খুনী হাসিনা সরকারের দূর্নীতিবাজ সাবেক সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদকে দিয়ে ডিও লেটার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তদবির করে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী পন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার আয়ত্বে নিয়ে কপিরাইট অফিসে বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন। তার ভয়ে কেউ কোনপ্রকার অভিযোগ দিতে পারতো না। তার অনুচরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাখিল হলে তিনি গোপনে অভিযোগের নথি বাতিল করে দিতেন। এমনকি খুনী হাসিনা সরকার থাকাকালীন কপিরাইট রেজিস্ট্রারকে কোন প্রকার মান্য না করে সাবেক সচিব খলিল আহমেদের হস্তক্ষেপে ডিডিও অর্থাৎ কপিরাইট অফিসের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা ফজলুল হক নিজের নিকট নিয়ে নেন। তারপর তার ইচ্ছামত কেনাকাটা শুরু করেন। পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ে তার মনমত লোক নিতেন। এমনকি একটি নিরীহ ছেলে ছাত্রদলের সাথে জড়িত থাকার কারণে সামান্য কারণ দেখিয়ে তাকে চাকুরী থেকে ছাটাই করে ফজলুল হক তার ভাগ্নেকে সেই পদে আসীন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কপিরাইট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান যে, ফজলুল হক এ অফিসে আসার পর কপিরাইট অফিসের পরিবেশ দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার ভয়ে কেউ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে না। তৎকালীর রেজিস্ট্রার তার ভয়ে কোনঠাসা হয়ে থাকতেন। কারণ ইতোপূর্বে কপিরাইট অফিসের দূর্নীতি নিয়ে দুইজন কর্মকর্তা -কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিভি মিডিয়া ও পেপার পত্রিকায় খবর আসার পরও তিনি এগুলো তোয়াক্কা না করে তাদেরকে দিয়ে তার অপকর্মের রাজত্ব শুরু করেন। এমনকি কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রেশন শাখার কিছু ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের অনুগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার আয়ত্বে নিয়ে পুরো অফিসে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেন। অন্যদিকে ভিন্ন রাজনীতিতে যারা বিশ্বাসী তাদের তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন এবং হুমকি দেন যে তাদের চাকুরী তিনি খেয়ে ফেলবেন; এমনকি তাদের স্ত্রীদের বিধবা করবেন ও বাচ্চাদের এতিম করে দিবেন।

ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি নিজেকে বৈষম্যের শিকার দেখিয়ে যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার হওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে জোর তদবির করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কপিরাইট অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান যে, আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক যদি কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার হয়ে আসেন তাহলে বাংলাদেশের একমাত্র সৃজনশীল অফিস হিসেবে কপিরাইট অফিসের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এবং অফিসে প্রতিনিয়ত বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে। তাই এরকম ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের দোসরকে দ্রুত কপিরাইট অফিস থেকে অন্যত্র অপসারন করার অনুরোধ জানান।

অভিযোগের বিষয়ে কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।