সবার অন্তত ৭ দিন জেলে থাকা উচিত জুনাইদ আহমেদ পলক।

- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ফখরুল আলম সাজু ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
জেল খানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার, সবার অন্তত ৭ দিন জেলে থাকা উচিত, যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনও এই কথা বলব, মন্তব্য করে জুনাইদ আহমেদ পলক ।
জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ধানমন্ডি থানা দায়ের হওয়া এক মামলা গ্রেফতার দেখানোর আবেদন নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। সে সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এদিন সকাল ১১টায় আদালতে নেওয়া হয় তাঁকে। বিচারক এজলাসে আসেন ১১টা ৬ মিনিটে। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের শুনিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এর আগে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে হেঁটে আসার সময়ও বেশ কিছু কথা বলেন তিনি।
এসময় অর্থ সংকটে কারাগারে মানবেতর অবস্থায় থাকার কথা জানান তিনি। অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খেতে হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘চিড়া মুড়ি খাওয়ার ও টাকা নাই। কারাগারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওরফে ব্যারিস্টার সুমন সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই, আমি কখনো খাওয়ারের কষ্ট করিনি জেলে কষ্ট করে খাওয়া খাচ্ছি।
এ সময় পুলিশ তাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমি কোন বেআইনি কথা বলছি না।
আদালতে কথা বললে রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। আইনজীবীরা কথা বললে রিমান্ড বেড়ে যায়।
এদিন কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর “পিপি” ওমর ফারুক ফারুকীকে সালাম দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুরুতে জুনাইদ আহমেদ পলককে এড়িয়ে নিজের কাজেই মনোযোগী ছিলেন ফারুকী। পরে তৃতীয় বার সালাম দেওয়ার পর জবাব দেন পিপি ওমর ফারুক, এসময় পলক বলেন স্যার ৩ বারের সময় সালামের জবাব দিয়েছেন, জুনিয়র হিসেবে কথা বইলেন স্যার।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও একজন আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গে জড়ানোর পর আইনপেশায় আর সক্রিয় নন।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের নিয়ে লেখার সময় আপনারা একটু সদয় হবেন।
শুনানি শেষে জুনাইদ আহমেদ পলককে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।