ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়েছে : নানক রংপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি রুখতে দলীয় অভিযোগ সেল গঠন পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন এ দেশে মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করতে হবে-জানে আলম খোকা লালপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ঝালকাঠির রাজাপুরে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন জনতার পুলিশ গঠনে সহযোগিতা চাইলেন এসপি বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ আহত ২০ বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

হত্যা মামলায় জয়পুরহাটে ৩ জনের যাবজ্জীবন

নিরেন দাস,স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিরেন দাস,স্টাফ রিপোর্টার:

জয়পুরহাট শহরের দস্তপুর গ্রামে শত্রুতার জেরে কৃষক বুলু মিয়া (৪০) হত্যার ঘটনায় মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গণিরাজের ছেলে এমরান আলী ওরফে নুহ এবং আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ২০ বছর আগে সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের বুলু মিয়া (৪০) একই উপজেলার দস্তপুর গ্রামের তাহেরা বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুলু বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরেননি। পরদিন ৪ এপ্রিল সকালে দস্তপুর গ্রামের আমজাদ রাজের বাড়ি থেকে দুইশ গজ দূরে আমজাদের বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকিতে রক্তের দাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ট্যাংকির ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বুলুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানার মামলা করেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেন ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের এ রায় দেন।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও এপিপি উদয় সিংহ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নন্দকিশোর আগরওয়ালা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হত্যা মামলায় জয়পুরহাটে ৩ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৭:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

নিরেন দাস,স্টাফ রিপোর্টার:

জয়পুরহাট শহরের দস্তপুর গ্রামে শত্রুতার জেরে কৃষক বুলু মিয়া (৪০) হত্যার ঘটনায় মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গণিরাজের ছেলে এমরান আলী ওরফে নুহ এবং আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ২০ বছর আগে সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের বুলু মিয়া (৪০) একই উপজেলার দস্তপুর গ্রামের তাহেরা বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুলু বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরেননি। পরদিন ৪ এপ্রিল সকালে দস্তপুর গ্রামের আমজাদ রাজের বাড়ি থেকে দুইশ গজ দূরে আমজাদের বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকিতে রক্তের দাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ট্যাংকির ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বুলুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানার মামলা করেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেন ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের এ রায় দেন।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও এপিপি উদয় সিংহ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নন্দকিশোর আগরওয়ালা।