ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে পৌর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মহারশি সাহিত্য সেরা পুস্তক সম্মাননা পদক পেলেন, বগুড়ার তরুণ লেখক খোকন সরদার সর্বোচ্চ ভোটে পুনরায়ে অ্যাটকোর পরিচালক হলেন লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন কুড়িগ্রামে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৮ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ বগুড়া শেরপুর আবারও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ০৫ খোকসায় দুই অটোভ্যান চোর আটক খোকসায় চলন্ত মোটরসাইকেলে ছিনতাই: দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে পথচারীরা খোকসা জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রংপুরে বিভিন্ন আদালতে পিপি ও জিপিসহ ৩৪ আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ।

সুনামগঞ্জে চোরাকারবারিদের হুংকারে আতংকিত সাধারণ মানুষ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ মধ্যনগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন এলাকায় চোরাকারবারিদের হুংকারে আতংকিত সাধারণ মানুষ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের সবকয়টি উপজেলার সীমান্তের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর সিন্ডিকেট মধ্যনগরের উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের মহিষখলা,মহনপুর,মাটিয়ারবন্দ,বাঙ্গালভিটা এলাকা।এসব এলাকার সকল চোরাকারবারিদের ছত্রছায়া দিয়ে আসছে দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের দাত্তিয়াপাড়ার একটি প্রভাবশলী মহল। তারা সীমন্তে আধিপত্য বিস্তার করে রাতের আধাঁরে ভারত থেকে নিয়ে আসছে পালেপালে গরু, এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এসব গরুর শরীলে বস্তা ঝুলিয়ে সাথে আসছে ভারতীয় মাদকদ্রব্য। চোরাচালানরোধে সাধারণ মানুষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসলেই পড়তে হয় দাত্তিয়াপাড়ার প্রভাবশালী মহলের রোষানলে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে সকল চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত হয়েছে উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার ও দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহিষখলা গরুর বাজারের নেতৃত্ব দেয়া আজিম মাহমুদ। সীমান্তবর্তী এলাকায় মেহমান বেড়াতে গেলেও রাত্রিযাপনে বাঁধা দেয় তাদের গুন্ডাবাহিনী।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,দাত্তিয়াপাড়ার চোরাকারবারিদের হুংকারে আমাদের জীবন চলাচলের নিরাপত্তা হারিয়ে ফেলেছি,তারা তাদের এক ঊর্ধ্বতনের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ শারীরিক নির্যাতন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে রেখেছে।তাদের সাথে চোরাকারবারে সহযোগিতা করলে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেও সমস্যা হয় না।এছাড়া গতকয়দিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের তালিকায় দূর্নীতির অভিযোগ উঠা উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর নবী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমাদের এলাকায় চোরাকারবারিরা শক্তিশালী হয়েছে কেননা তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে যেইভাবে পার করে খাও।
দাত্তিয়াপাড়া চোরাকারবারিদের অত্যাচারের মাত্রা বর্ণনা করতে গিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা আবু বাক্কার জানান, মোতালিব নামক একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নাকি চোরাকারবারিদের ভারত থেকে নিয়ে আসা গরু বিজিবির মাধ্যমে ধরিয়ে দেয় এই অভিযোগ তুলে দাত্তিয়াপাড়া ও কাঠঘড়ার চোরাকারবারিরা রাতের আধাঁরে একসাথে বসে তাকে মেরে ফেলার জন্য মোটা অংকের টাকা বাজেট করে।
এবিষয়ে রাজেন্দ্রপুরের মোতালিব জানান,বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি হওয়ার সুবাদে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে সুসম্পর্ক হওয়ায় প্রায় সময়ই ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথাবার্তা হয়।এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে মহিষখলা বাজারের ইজারাদারের লোকজন, আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের জীবনের শংকায় রয়েছি।
এবিষয়ে দাত্তিয়াপাড়ার চোরাকারবারিদের শেল্টার দাতা মহিষখলা গরুর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান ,তিনি এলাকাই থাকেন না একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানান সময় এধরনের অভিযোগ উঠিয়ে বেড়াচ্ছে।
সীমান্ত চোরাকারবারি সহ দাত্তিয়াপাড়া গ্রুপের পরোক্ষভাবে মদদদাতা উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার জানান,আমি বরাবরই চোরাচালানী ও মাদকের বিরোধিতা করে আছি।মাদক ও চোরাচালানে বিপক্ষে আমার অবস্থান পরিস্কার।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান এর মুঠোফোনে বারবার কল করে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুনামগঞ্জে চোরাকারবারিদের হুংকারে আতংকিত সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ মধ্যনগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন এলাকায় চোরাকারবারিদের হুংকারে আতংকিত সাধারণ মানুষ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের সবকয়টি উপজেলার সীমান্তের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর সিন্ডিকেট মধ্যনগরের উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের মহিষখলা,মহনপুর,মাটিয়ারবন্দ,বাঙ্গালভিটা এলাকা।এসব এলাকার সকল চোরাকারবারিদের ছত্রছায়া দিয়ে আসছে দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের দাত্তিয়াপাড়ার একটি প্রভাবশলী মহল। তারা সীমন্তে আধিপত্য বিস্তার করে রাতের আধাঁরে ভারত থেকে নিয়ে আসছে পালেপালে গরু, এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এসব গরুর শরীলে বস্তা ঝুলিয়ে সাথে আসছে ভারতীয় মাদকদ্রব্য। চোরাচালানরোধে সাধারণ মানুষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসলেই পড়তে হয় দাত্তিয়াপাড়ার প্রভাবশালী মহলের রোষানলে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে সকল চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত হয়েছে উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার ও দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহিষখলা গরুর বাজারের নেতৃত্ব দেয়া আজিম মাহমুদ। সীমান্তবর্তী এলাকায় মেহমান বেড়াতে গেলেও রাত্রিযাপনে বাঁধা দেয় তাদের গুন্ডাবাহিনী।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,দাত্তিয়াপাড়ার চোরাকারবারিদের হুংকারে আমাদের জীবন চলাচলের নিরাপত্তা হারিয়ে ফেলেছি,তারা তাদের এক ঊর্ধ্বতনের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ শারীরিক নির্যাতন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে রেখেছে।তাদের সাথে চোরাকারবারে সহযোগিতা করলে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেও সমস্যা হয় না।এছাড়া গতকয়দিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের তালিকায় দূর্নীতির অভিযোগ উঠা উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর নবী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমাদের এলাকায় চোরাকারবারিরা শক্তিশালী হয়েছে কেননা তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে যেইভাবে পার করে খাও।
দাত্তিয়াপাড়া চোরাকারবারিদের অত্যাচারের মাত্রা বর্ণনা করতে গিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা আবু বাক্কার জানান, মোতালিব নামক একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নাকি চোরাকারবারিদের ভারত থেকে নিয়ে আসা গরু বিজিবির মাধ্যমে ধরিয়ে দেয় এই অভিযোগ তুলে দাত্তিয়াপাড়া ও কাঠঘড়ার চোরাকারবারিরা রাতের আধাঁরে একসাথে বসে তাকে মেরে ফেলার জন্য মোটা অংকের টাকা বাজেট করে।
এবিষয়ে রাজেন্দ্রপুরের মোতালিব জানান,বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি হওয়ার সুবাদে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে সুসম্পর্ক হওয়ায় প্রায় সময়ই ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথাবার্তা হয়।এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে মহিষখলা বাজারের ইজারাদারের লোকজন, আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের জীবনের শংকায় রয়েছি।
এবিষয়ে দাত্তিয়াপাড়ার চোরাকারবারিদের শেল্টার দাতা মহিষখলা গরুর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান ,তিনি এলাকাই থাকেন না একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানান সময় এধরনের অভিযোগ উঠিয়ে বেড়াচ্ছে।
সীমান্ত চোরাকারবারি সহ দাত্তিয়াপাড়া গ্রুপের পরোক্ষভাবে মদদদাতা উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার জানান,আমি বরাবরই চোরাচালানী ও মাদকের বিরোধিতা করে আছি।মাদক ও চোরাচালানে বিপক্ষে আমার অবস্থান পরিস্কার।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান এর মুঠোফোনে বারবার কল করে পাওয়া যায়নি।