শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন কবিতা প্রকাশ করলেন ডাঃ আমিনুল ইসলাম
- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০২৯ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর ধামইরহাটে ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন কবিতা প্রকাশ করেন উপজেলার ০৪ নং উমার ইউনিয়নের গাংরা গ্রামের মৃত সামসুদ্দীন (মাস্টার) ও আফিয়া বেওয়ার বড় সন্তান ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম ।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বেলা এগারোটায় উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, মোঃ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পৌর কমিশনার মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় “বাংলা ভাষা” নামক একটি কবিতা উপহার দেন তিনি। কবিতাটি আবৃত্তি করেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম (৫০)
তথ্য সূত্রে জানা যায়, তিনি পেশায় একজন হোমিও চিকিৎসক। একাধারে তিনি একজন শিক্ষক, লেখক, কবি, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৬১ সালের ১৬ আগস্ট ধামইরহাট উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে তাহার নানার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন এই প্রতিভাবান ব্যাক্তি। ছোটকাল কাটিয়েছেন দুর্বার ভাবে। যখন তার বয়স ১১ বছর তখন পিতাকে হারান । পরিবারের তখন তার মা এবং চার ভাই। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছেন । মাতা ছিল তার পথ পদর্শক। মায়ের হাত ধরেই তিনি স্কুল জীবনে পা রাখেন। পিতার মৃত্যুর সময় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তবে তার পড়াশোনার হাল ছারেননি। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ার পর থেকে শিক্ষা অনুরাগী হন। এরপর ১৯৭৯ সালে ঐতিহ্যবাহী ফার্শিপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন, বর্তমান যা ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত। ১৯৮৪ সালে ধামইরহাট এম এম কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকেই ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস) অর্জন করেন। এছাড়াও মহেশপুর (চকবদন) ইবতেদিয়া মাদ্রাসায় বাংলা বিষয়ে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন।
লেখক, মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি একটি কবিতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, চিকিৎসার পাশাপাশি যখনই সময় পান তখনই গান, গজল, ছোটগল্প, ছড়া ইত্যাদি লিখতেন এবং এখনো লেখেই চলেছেন। তার লেখা সহস্রাধিক গান ও কবিতা রয়েছে। সুযোগ পেলে তিনি তা জনসম্মুখে আরও প্রকাশ করতে চান। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা- (রক্তিম শাপলা, বাংলা ভাষা, কাজল পরা আঁখি, প্রেমের জয়গান, ভালো মানুষ)। সারা জীবন গান সাধনা করেছেন, গান লিখেছেন, সুর করেছন; কিন্তু স্থানীয়দের থেকে কোন পথ নির্দেশনা পাননি। আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ধামইরহাট উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তার একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। তা দিয়ে তিনি ব্যাপক সারা পেয়েছেন। এই অনুপ্রেরণায় সে গান, গজল, ছোট গল্প ও কবিতা লিখেই যাবেন বলে মতামত প্রকাশ করেন এবং মোঃ তরিকুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কবিতা আবৃত্তির সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাহার আলী মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ধামইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তমা আকতার, মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক মোসাঃ আঞ্জুয়ারা, উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিক আল জোবায়ের, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আজমল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল কুমার, যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ কারুজ্জামান, সরকারি এম.এম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক এম.এ হোসাইন, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাবিহা ইয়াসমিন, সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহমান, চকময়রাম সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম খেলাল-ই-রাব্বানীপ্রমুখ সহ শিল্পকলার শিল্পী-সদস্য ও সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।