ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার খোকসায় এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার নামে চাঁদাবাজি ভোজ্যতেলের রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৪ শিবগঞ্জে অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক নড়াইলে সাবেক এমপি মাশরাফী ও বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনকে আসামী করে মামলা শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার যোগ্য উত্তরসূরী আমাদের ছাত্রসমাজঃ নুরুল ইসলাম আনছার প্রাঃ নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত নড়াইলে বর্ষাকালীন হাইব্রিড তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন ঢাকার অনুরোধে ইউনূস–মোদি বৈঠক বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়েছে : নানক

রায়পুরায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত: বিচার দাবীতে সহপাঠী ও স্বজনদের মানববন্ধন

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি

রায়পুরায় উপজেলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী টেটা যুদ্ধে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নিহত ৬ ব্যাক্তির হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে রায়পুরা থানার প্রধান গেইটের সামনে ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে নিহতের স্বজন ও সায়দাবাদ স্কুলের ছাত্ররা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ি মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সহ ৬ জন নিহত হয়।

মানববন্ধনে দশম শ্রেনীর ছাত্র সাজিদ মিয়া বলেন, সায়দাবাদ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদকে নৃশংসভাবে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে খুনিরা। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে সে। নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই বলেন, হত্যাকারীদের ভয়ে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারতেছেনা। বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর সহ লুটপাট চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রায়পুরা থানায় নিহত ফিরোজা বেগমের ভাই এরশাদ মিয়া ও নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই ইকবাল বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ির মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইল্লার বাড়ির হামলায় সাহেব বাড়ির ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) এবং একই এলাকার আসাবুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক (২৮)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রায়পুরায় সংঘর্ষে ৬ জন নিহত: বিচার দাবীতে সহপাঠী ও স্বজনদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি

রায়পুরায় উপজেলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী টেটা যুদ্ধে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নিহত ৬ ব্যাক্তির হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে রায়পুরা থানার প্রধান গেইটের সামনে ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে নিহতের স্বজন ও সায়দাবাদ স্কুলের ছাত্ররা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ি মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সহ ৬ জন নিহত হয়।

মানববন্ধনে দশম শ্রেনীর ছাত্র সাজিদ মিয়া বলেন, সায়দাবাদ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদকে নৃশংসভাবে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে খুনিরা। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে সে। নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই বলেন, হত্যাকারীদের ভয়ে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারতেছেনা। বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর সহ লুটপাট চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রায়পুরা থানায় নিহত ফিরোজা বেগমের ভাই এরশাদ মিয়া ও নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই ইকবাল বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ির মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইল্লার বাড়ির হামলায় সাহেব বাড়ির ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) এবং একই এলাকার আসাবুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক (২৮)।