ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
খোকসায় চলন্ত মোটরসাইকেলে ছিনতাই: দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে পথচারীরা খোকসা জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রংপুরে বিভিন্ন আদালতে পিপি ও জিপিসহ ৩৪ আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ। হাসিনার পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বগুড়া শেরপুর থানার বিশেষ অভিযানে প্রতারক চক্রের মূল হতাসহ ৫ জন গ্রেপ্তার। বগুড়া শেরপুরে অটো রিক্সা সহ ৩ চোর আটক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাইদ সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে অনার্স পাস করলেন বগুড়া শেরপুর ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা” ২০২৪ নড়াইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে করা মানহানি মামলা খারিজ পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেলেন মানিক রহমান

রামেকে চিকিৎসাধীন অঙ্গাতনামা সেই কিশোর আর নেই

মোঃ মারজুক রহমান রিদয় রাজশাহী সদর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল অজ্ঞাতনামা এক কিশোর। তার কোনো স্বজন না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই দেখাশোনা করেন।
কিন্তু মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা গেছে অজ্ঞাতনামা সেই কিশোর। ৩ মে অচেতন অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।

ওই কিশোরের পরিচয় জানার জন্য সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হরেও শনাক্ত করা যায়নি। ২ মে সকালে ওই কিশোরকে পাবনার মুলাডুলি রেললাইনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় তার পরনে ছিল বাদামি রঙের প্যান্ট। শরীরের ওপরের অংশে কোনো পোশাক ছিল না। তার বয়স আনুমানিক ১৫ বছর।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২ মে সকাল ১০ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে স্থানান্তর করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনর্চাজ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি ৩ মে ও ৭ মে ওই কিশোরের সিটি স্ক্যান করান। তার মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল।
মাথায় এত বড় আঘাতে মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। লাইফ সাপোর্ট লাগানো হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শিশু আইসিইউয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পরিচয় উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপও নেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল আরও বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সবাইকে কাঁদিয়ে ওই কিশোর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। এর আগে অনেকেই ওই কিশোরকে নিজের সন্তান দাবি করে হাসপাতালে দেখতে আসেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে চিনতে না পারায় সবাই ফিরে যান। বর্তমানে ওই কিশোরের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামেকে চিকিৎসাধীন অঙ্গাতনামা সেই কিশোর আর নেই

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল অজ্ঞাতনামা এক কিশোর। তার কোনো স্বজন না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই দেখাশোনা করেন।
কিন্তু মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা গেছে অজ্ঞাতনামা সেই কিশোর। ৩ মে অচেতন অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।

ওই কিশোরের পরিচয় জানার জন্য সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হরেও শনাক্ত করা যায়নি। ২ মে সকালে ওই কিশোরকে পাবনার মুলাডুলি রেললাইনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় তার পরনে ছিল বাদামি রঙের প্যান্ট। শরীরের ওপরের অংশে কোনো পোশাক ছিল না। তার বয়স আনুমানিক ১৫ বছর।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২ মে সকাল ১০ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে স্থানান্তর করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনর্চাজ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি ৩ মে ও ৭ মে ওই কিশোরের সিটি স্ক্যান করান। তার মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল।
মাথায় এত বড় আঘাতে মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। লাইফ সাপোর্ট লাগানো হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শিশু আইসিইউয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পরিচয় উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপও নেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল আরও বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সবাইকে কাঁদিয়ে ওই কিশোর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। এর আগে অনেকেই ওই কিশোরকে নিজের সন্তান দাবি করে হাসপাতালে দেখতে আসেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে চিনতে না পারায় সবাই ফিরে যান। বর্তমানে ওই কিশোরের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।