ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার খোকসায় এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার নামে চাঁদাবাজি ভোজ্যতেলের রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৪ শিবগঞ্জে অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক নড়াইলে সাবেক এমপি মাশরাফী ও বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনকে আসামী করে মামলা শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার যোগ্য উত্তরসূরী আমাদের ছাত্রসমাজঃ নুরুল ইসলাম আনছার প্রাঃ নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত নড়াইলে বর্ষাকালীন হাইব্রিড তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন ঢাকার অনুরোধে ইউনূস–মোদি বৈঠক বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়েছে : নানক

রংপুরে ডিসিকে ‘স্যার বলতে বাধ্য করায়’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের অবস্থান

হীমেল কুমার মিত্র স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন ‘স্যার’ সম্মোধনে বাধ্য করেছেন-এমন অভিযোগ তুলে (২২ মার্চ) বুধবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক।

নিজের শিশুকন্যাসহ ওমর ফারুক নামে ওই শিক্ষকের প্রতিবাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে একত্রিত হলে পরে উভয়পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমঝোতা হয়।

ওমর ফারুক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান, বুধবার সন্ধায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাত করে ফলপ্রসূ আলোচনার পর বিদায় জানাতে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে তিনি ‘আপা’ সম্মোধন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক তার কাছে জানতে চান, এই চেয়ারে কোন পুরুষ বসে থাকলে তাকে স্যার বলে সম্মোধন করতেন কি না।

জেলা প্রশাসকের এমন প্রশ্নে অপমানিত বোধ করে সঙ্গে সঙ্গে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে প্লাকার্ড লিখে ওমর ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলার সিড়িতে অবস্থান নেন।

উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা জানান, বিষয়টি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। পরে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন নিচে নেমে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করলে ক্ষোভ প্রশমিত হয় বলে জানান তারা।

জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শুধু এটুকু বলেন, একটা বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটার সমাধান হয়ে গেছে।

তবে ঘটনার সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলেছেন, বিষয়টি আসলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দাম্ভিকতা থেকে নয়, বরং নারী ও পুরুষের মধ্যে সামাজিক বৈষম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন এই কথা বলে থাকতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রংপুরে ডিসিকে ‘স্যার বলতে বাধ্য করায়’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের অবস্থান

আপডেট সময় : ১২:২৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন ‘স্যার’ সম্মোধনে বাধ্য করেছেন-এমন অভিযোগ তুলে (২২ মার্চ) বুধবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক।

নিজের শিশুকন্যাসহ ওমর ফারুক নামে ওই শিক্ষকের প্রতিবাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে একত্রিত হলে পরে উভয়পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমঝোতা হয়।

ওমর ফারুক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান, বুধবার সন্ধায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাত করে ফলপ্রসূ আলোচনার পর বিদায় জানাতে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে তিনি ‘আপা’ সম্মোধন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক তার কাছে জানতে চান, এই চেয়ারে কোন পুরুষ বসে থাকলে তাকে স্যার বলে সম্মোধন করতেন কি না।

জেলা প্রশাসকের এমন প্রশ্নে অপমানিত বোধ করে সঙ্গে সঙ্গে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে প্লাকার্ড লিখে ওমর ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলার সিড়িতে অবস্থান নেন।

উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা জানান, বিষয়টি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। পরে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন নিচে নেমে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করলে ক্ষোভ প্রশমিত হয় বলে জানান তারা।

জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শুধু এটুকু বলেন, একটা বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটার সমাধান হয়ে গেছে।

তবে ঘটনার সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলেছেন, বিষয়টি আসলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দাম্ভিকতা থেকে নয়, বরং নারী ও পুরুষের মধ্যে সামাজিক বৈষম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন এই কথা বলে থাকতে পারেন।