ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পূর্বের সিস্টেম যদি বলবৎ থাকে তাহলে কি আমরা এই বাংলাদেশ জন্য জীবন দিয়েছি ; গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কেউ একজন আসুক খানপুর ইউনিয়ন সোনালী সংসদের উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান

রংপুরে ডিবি পরিচয়ে কৃষককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি

হীমেল কুমার মিত্রঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মইদুল ইসলাম সোনা (৪০) নামে এক কৃষককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৬ দিন পার হলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ স্বজনদের।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল রাত প্রায় ১টার দিকে গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে কৃষক মইদুলের বাড়িতে যান ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭/৮জন। এ সময় তারা মইদুলের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সাথী বেগম গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তাকে পিটিয়ে আহত করে কথিত ডিবি পুলিশের লোকজন।

ঘটনার পর মইদুলের বাবা নুর ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম অপহৃতের বাসায় যান। পরে তার খোঁজে আলমবিদিতর খানাটারী গ্রামের সুরুজ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রাতে সুরুজ মোবাইল ফোনে অপহৃতের বাবা নুর ইসলামকে ডেকে নিয়ে তার ছেলের মুক্তির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় কিছু টাকা সুরুজের হাতে দেন নুর ইসলাম। এ সময় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহৃত মইদুলকে উদ্ধারের কথা জানান সুরুজ। কিছু সময় পর সুরুজ মোবাইল ফোনে নুর ইসলামকে পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের এক স্থানে যেতে বলেন। নুর ইসলাম তার ভাতিজা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে মইদুলকে আহত অবস্থায় রাস্তায় বসে থাকতে দেখেন।

এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গঙ্গাচড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নুর ইসলাম। কিন্তু ৬ দিন ধরে গঙ্গাচড়া থানার ওসি লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, একটু সমস্যা ছিল, ১ পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সমস্যা হয়েছে। মামলাটি দ্রুত রেকর্ড করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রংপুরে ডিবি পরিচয়ে কৃষককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি

আপডেট সময় : ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মইদুল ইসলাম সোনা (৪০) নামে এক কৃষককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৬ দিন পার হলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ স্বজনদের।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল রাত প্রায় ১টার দিকে গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে কৃষক মইদুলের বাড়িতে যান ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭/৮জন। এ সময় তারা মইদুলের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সাথী বেগম গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তাকে পিটিয়ে আহত করে কথিত ডিবি পুলিশের লোকজন।

ঘটনার পর মইদুলের বাবা নুর ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম অপহৃতের বাসায় যান। পরে তার খোঁজে আলমবিদিতর খানাটারী গ্রামের সুরুজ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রাতে সুরুজ মোবাইল ফোনে অপহৃতের বাবা নুর ইসলামকে ডেকে নিয়ে তার ছেলের মুক্তির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় কিছু টাকা সুরুজের হাতে দেন নুর ইসলাম। এ সময় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহৃত মইদুলকে উদ্ধারের কথা জানান সুরুজ। কিছু সময় পর সুরুজ মোবাইল ফোনে নুর ইসলামকে পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের এক স্থানে যেতে বলেন। নুর ইসলাম তার ভাতিজা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্থানে গিয়ে মইদুলকে আহত অবস্থায় রাস্তায় বসে থাকতে দেখেন।

এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গঙ্গাচড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নুর ইসলাম। কিন্তু ৬ দিন ধরে গঙ্গাচড়া থানার ওসি লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, একটু সমস্যা ছিল, ১ পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সমস্যা হয়েছে। মামলাটি দ্রুত রেকর্ড করা হবে।