ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই : বাংলাদেশ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্ম জয়ন্তী: মধুমেলা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বন্ধুসভার পাঠচক্র‍ বিজিবির অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমারের ৩১ টি গরু জব্দ! গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মহেশখালীর সোনাদিয়ার কটেজ সরাতে বেজার নির্দেশ

মফিজুর রহমান কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহেশখালীর সোনাদিয়ায় আগত পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ (বেজা)।

গত ২৬ জানুয়ারি বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয় বেজা। চিঠিতে সোনাদিয়ায় অপরাধ এবং অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে পর্যটকদের রাত যাপনে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অবৈধ কটেজ অপসারণ করতে বলা হয়।

ইস্যুকৃত চিঠিতে সোনাদিয়াকে বেজা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে আখ্যা দিলেও সেখানেই পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বেজা। যদিও সম্ভাব্য স্থাপিত পার্ককে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক বলে দাবি করেছে তাঁরা। কিন্তু পরিবেশবিদরা বলছে কোনো অবস্থাতেই সোনাদিয়ায় কোনো স্থাপনা নির্মাণসহ দ্বীপে অধিক লোকারণ্য করা যাবেনা। কারণ লোকে লোকারণ্য ও পার্ক নির্মিত হলে সোনাদিয়ার সংকটাপন্ন পরিবেশ শূণ্যের কোটায় নেমে হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে এ দ্বীপ।

বেজার চিঠিতে সোনাদিয়াকে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে- সোনাদিয়ার প্রাকৃতিক বন ও গাছপালা কাটা, বন্যপ্রাণী হত্যা, উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস, বায়ু বা শব্দ দূষণ হয় এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান করা এবং বর্জ্য নির্গমন ও কোনো উপায়ে পাথরসহ খনিজসম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহু আগে থেকেই। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেজার ৭ম সভায় সোনাদিয়ার ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে নান্দনিক এবং পরিবেশ-বান্ধব স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজম করার কথাও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোনাদিয়ার অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণসহ পর্যটকদের রাত যাপন নিষিদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা)। এদিকে পরিবেশবিদরা ইকো পার্কের জন্য অন্য কোনো এলাকা নির্বাচন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সরকার তাঁর জায়গা থেকে এক চুল পরিমানও নড়েনি।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সর্বোত্তম উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও ভারি স্থাপনা নির্মাণ এবং পর্যটকদের আগমন দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মহেশখালীর সোনাদিয়ার কটেজ সরাতে বেজার নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মহেশখালীর সোনাদিয়ায় আগত পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ (বেজা)।

গত ২৬ জানুয়ারি বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয় বেজা। চিঠিতে সোনাদিয়ায় অপরাধ এবং অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে পর্যটকদের রাত যাপনে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অবৈধ কটেজ অপসারণ করতে বলা হয়।

ইস্যুকৃত চিঠিতে সোনাদিয়াকে বেজা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে আখ্যা দিলেও সেখানেই পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বেজা। যদিও সম্ভাব্য স্থাপিত পার্ককে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক বলে দাবি করেছে তাঁরা। কিন্তু পরিবেশবিদরা বলছে কোনো অবস্থাতেই সোনাদিয়ায় কোনো স্থাপনা নির্মাণসহ দ্বীপে অধিক লোকারণ্য করা যাবেনা। কারণ লোকে লোকারণ্য ও পার্ক নির্মিত হলে সোনাদিয়ার সংকটাপন্ন পরিবেশ শূণ্যের কোটায় নেমে হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে এ দ্বীপ।

বেজার চিঠিতে সোনাদিয়াকে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে- সোনাদিয়ার প্রাকৃতিক বন ও গাছপালা কাটা, বন্যপ্রাণী হত্যা, উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস, বায়ু বা শব্দ দূষণ হয় এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান করা এবং বর্জ্য নির্গমন ও কোনো উপায়ে পাথরসহ খনিজসম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহু আগে থেকেই। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেজার ৭ম সভায় সোনাদিয়ার ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে নান্দনিক এবং পরিবেশ-বান্ধব স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজম করার কথাও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোনাদিয়ার অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণসহ পর্যটকদের রাত যাপন নিষিদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা)। এদিকে পরিবেশবিদরা ইকো পার্কের জন্য অন্য কোনো এলাকা নির্বাচন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সরকার তাঁর জায়গা থেকে এক চুল পরিমানও নড়েনি।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সর্বোত্তম উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও ভারি স্থাপনা নির্মাণ এবং পর্যটকদের আগমন দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।