মহেশখালীর বাজারে এসেছে গরমে ফল তরমুজ
- আপডেট সময় : ০৫:০৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১০ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের মহেশখালী বাজারে এসেছে গরমে প্রিয় ফল তরমুজ। এখন উপজেলার বাজারগুলোতে বলতে গেলে তরমুজের ছড়াছড়ি। বাজারভরা তরমুজ থাকলেও দাম বেশি হওয়াতে তেমন খুশি নন ক্রেতারা। প্রত্যেকটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পযর্ন্ত।
উপজেলার হোয়ানক টাইমবাজারের এক তরমুজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, আমিরাবাদ, চকরিয়া আড়ৎ থেকে এ তরমুজ একশ’ হিসাবে কিনে থাকেন। খুচরা বাজারে বিক্রি করেন প্রতি পিচ হিসেবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বতর্মান বাজারে তরমুজ আগাম ফল হিসেবে আসায়, ক্রেতাদের চাহিদা একটু বেশি। এখনো পুরোদমে তরমুজ বাজারে আসেনি তাই দামও বেশি হচ্ছে। আর কয়েক দিনপর তরমুজের দাম আরও কমে যাবে।
গতকাল ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার(, সকাল ১০ ঘটিকায়, উপজেলার হোয়ানক টাইমবাজারে ঘুরে দেখলাম, গরম বেশি পড়ার কারণে তরমুজের দোকানে মানুষ ভিড় জমেছে, প্রত্যেক জনের হাতে রয়েছে দু”একটা তরমুজ। যেমন তরমুজে দাম, তেমন চাহিদাও অনেক। এ তরমুজ জনপ্রিয় ফল হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে এবং অন্যান্য ফলের চেয়েও তরমুজে চাহিদা দ্বীগুণ।
বিক্রেতারা বলছেন, একশ’ হিসাবে দাম ধরে তাদের তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এতে ছোট-বড় সব আকারের তরমুজের জন্য একই দাম দিতে হয়। বড় তরমুজ দিয়ে মূলত তারা লাভ করে থাকেন। অন্যান্য জায়গার মতো এখানে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি হয়। প্রত্যেকটি পিস হিসেবে বিক্রি হয়। যার যেমন ইচ্ছা নিতে পারবেন। টাইমবাজার প্রধান সড়কের পূর্বে ৩টি তরমুজ বিক্রির দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই তরমুজের বিশাল স্তুপ।
এক তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, এ সময় বাজারে তরমুজের যথেষ্ট চাহিদা আছে। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করছি । বর্তমানে গাড়ি ভাড়াসহ কেনা খরচ বেশি তাই কিনা দর থেকে অল্প বাড়তি নিয়ে বিক্রি করছি।
সাহাব উদ্দিন জানান, চকরিয়া আড়ৎ থেকে বড়-ছোট প্রত্যেকটি ১২০ টাকা হিসেবে কিনতে হয়েছে। এগুলোর গাড়ি ভাড়া, লেবার খরচ সহ প্রতিটি তরমুজে ১৩০ টাকা খরচা হয়েছে। তাই আমরা আলাদা আলাদা হিসেবে দাম রেখে বিক্রি করছি।
মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মহেশখালীতে সচরাচর তরমুজ উৎপাদন না হওয়ায়, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন আড়ৎ থেকে আমদানি করায়, এখানে তরমুজের দাম একটু বেশি। আগামীতে এখানে সচরাচর চাষের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।