ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে পৌর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মহারশি সাহিত্য সেরা পুস্তক সম্মাননা পদক পেলেন, বগুড়ার তরুণ লেখক খোকন সরদার সর্বোচ্চ ভোটে পুনরায়ে অ্যাটকোর পরিচালক হলেন লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন কুড়িগ্রামে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৮ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ বগুড়া শেরপুর আবারও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ০৫ খোকসায় দুই অটোভ্যান চোর আটক খোকসায় চলন্ত মোটরসাইকেলে ছিনতাই: দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে পথচারীরা খোকসা জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রংপুরে বিভিন্ন আদালতে পিপি ও জিপিসহ ৩৪ আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ।

মহেশখালীতে ডা: আনছারের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও মামলা, হামলায় হয়রানির অভিযোগ

মফিজুর রহমান, মহেশখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মফিজুর রহমান, মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ডা: আনছারুল করিম নামে এক ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ, স্ট‍্যাম্প জালিয়াতি, নিরহ মানুষকে মিথ‍্য মামলায় হয়রানি, অবৈধ জমি দখল ও লুটপাট সহ ইত্যাদি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১১ মে ২০১১ সালে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে ছনখোলাপাড়া গ্রামে বাসিন্দা জনৈক মৃত আলী আহমদের ছেলে আহমদ উল্লাহ বাড়িতে না থাকায়, তার স্ত্রী হালিমা আকতারকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব‍্যার্থ হয়ে তার স্ত্রীকে ব‍্যাপক মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরে আহমদ উল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায়, আহমদ উল্লাহ বাদী হয়ে একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ডা: আনছারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারী-২, ২৭২/১৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দ্বারা আহমদ উল্লাহ পরিবারের উপর কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে আহমদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী সহ একাধিক ব‍্যক্তি আহত করে।

এসব ঘটনায় ব‍্যর্থ হয়ে, ডা: আনছার মিথ‍্যের আশ্রয় নিয়ে, জালিয়াতি স্ট‍্যাম্প ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে আহমদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার সি আর মামলা নং ১৩৯/২২ এ মামলা তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডা: আনছার কয়েক বছরের মধ‍্যে কয়েক জন সন্ত্রাসীর সাথে হাত মিলেয়ে ভালো মানুষের কোখশ পড়ে ডা: পরিচয়ে নিজের সন্ত্রাসী রূপকে গোপন রেখে চলছে, তিনি দিনে ডা: হলেও রাতে ভয়ংকর এক সন্ত্রাসের রূপ নেয়া। কেউ তার সাথে কথা বলতে না বলতে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে এলাকার নিরহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুবিধা ভোগ করে আসছেন।

মনির আলম জানান, অহেতুক ভাবে নিরহ মানুষকে হয়রানি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ডা: আনছার ও গ‍্যাং এর সদস্যরা মিলে আমাকে ব‍্যাপক মারধর করে। তখন আমি থানার নন এফ আই আর নং ১০১/২১ ধারায় মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে আমি তার একাধিক হামলার স্বীকার হই।

গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার), দুপুর ১২ টার সময় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়া গ্রামের স্ট‍্যাম্পে স্বাক্ষরিত ব‍্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে, এ ঘটনায় তারা অবগত নয় এবং তারা কোন স্ট‍‍্যাম্পে স্বাক্ষর করেনি বলে দাবি জানান।

হালিমা আকতার জানান, আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে আশেক উল্লাহ, রফিক উল্লাহকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন হুমকি ধমকি ও মারধরের চেষ্টার অভিযোগে তাদের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ৯৭২/২১

হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের প‍্যানেল চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে বিষটি গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তির জন্য পাঠালে আমরা উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করি। নোটিশে সাড়া দিয়ে আসামি আহমদ উল্লাহ উপস্থিত হলেও বাদী আনছারুল করিম উপস্থিত হয় না। পরে আলোচনা সাপেক্ষে মামলাটি আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হয়।

মহেশখালী থানা তদন্ত অফিসার আবদু রাজ্জাক জানান, তারা একে অপরকে একাধিক মামলায় হয়রানি করেছে। এরমধ্যে মারামারি একটি মামলা আমাদের কাছে আছে।এটি তদন্তন সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মহেশখালীতে ডা: আনছারের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও মামলা, হামলায় হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

মফিজুর রহমান, মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ডা: আনছারুল করিম নামে এক ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ, স্ট‍্যাম্প জালিয়াতি, নিরহ মানুষকে মিথ‍্য মামলায় হয়রানি, অবৈধ জমি দখল ও লুটপাট সহ ইত্যাদি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১১ মে ২০১১ সালে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে ছনখোলাপাড়া গ্রামে বাসিন্দা জনৈক মৃত আলী আহমদের ছেলে আহমদ উল্লাহ বাড়িতে না থাকায়, তার স্ত্রী হালিমা আকতারকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব‍্যার্থ হয়ে তার স্ত্রীকে ব‍্যাপক মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরে আহমদ উল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায়, আহমদ উল্লাহ বাদী হয়ে একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ডা: আনছারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারী-২, ২৭২/১৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দ্বারা আহমদ উল্লাহ পরিবারের উপর কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে আহমদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী সহ একাধিক ব‍্যক্তি আহত করে।

এসব ঘটনায় ব‍্যর্থ হয়ে, ডা: আনছার মিথ‍্যের আশ্রয় নিয়ে, জালিয়াতি স্ট‍্যাম্প ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে আহমদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার সি আর মামলা নং ১৩৯/২২ এ মামলা তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডা: আনছার কয়েক বছরের মধ‍্যে কয়েক জন সন্ত্রাসীর সাথে হাত মিলেয়ে ভালো মানুষের কোখশ পড়ে ডা: পরিচয়ে নিজের সন্ত্রাসী রূপকে গোপন রেখে চলছে, তিনি দিনে ডা: হলেও রাতে ভয়ংকর এক সন্ত্রাসের রূপ নেয়া। কেউ তার সাথে কথা বলতে না বলতে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে এলাকার নিরহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুবিধা ভোগ করে আসছেন।

মনির আলম জানান, অহেতুক ভাবে নিরহ মানুষকে হয়রানি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ডা: আনছার ও গ‍্যাং এর সদস্যরা মিলে আমাকে ব‍্যাপক মারধর করে। তখন আমি থানার নন এফ আই আর নং ১০১/২১ ধারায় মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে আমি তার একাধিক হামলার স্বীকার হই।

গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার), দুপুর ১২ টার সময় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়া গ্রামের স্ট‍্যাম্পে স্বাক্ষরিত ব‍্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে, এ ঘটনায় তারা অবগত নয় এবং তারা কোন স্ট‍‍্যাম্পে স্বাক্ষর করেনি বলে দাবি জানান।

হালিমা আকতার জানান, আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে আশেক উল্লাহ, রফিক উল্লাহকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন হুমকি ধমকি ও মারধরের চেষ্টার অভিযোগে তাদের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ৯৭২/২১

হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের প‍্যানেল চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে বিষটি গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তির জন্য পাঠালে আমরা উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করি। নোটিশে সাড়া দিয়ে আসামি আহমদ উল্লাহ উপস্থিত হলেও বাদী আনছারুল করিম উপস্থিত হয় না। পরে আলোচনা সাপেক্ষে মামলাটি আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হয়।

মহেশখালী থানা তদন্ত অফিসার আবদু রাজ্জাক জানান, তারা একে অপরকে একাধিক মামলায় হয়রানি করেছে। এরমধ্যে মারামারি একটি মামলা আমাদের কাছে আছে।এটি তদন্তন সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।