ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পূর্বের সিস্টেম যদি বলবৎ থাকে তাহলে কি আমরা এই বাংলাদেশ জন্য জীবন দিয়েছি ; গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কেউ একজন আসুক খানপুর ইউনিয়ন সোনালী সংসদের উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

মারুফ সরকার স্টাফ রির্পোটার:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি আজীবন বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাকে ধারণ ও লালন করেছেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ততদিন পরিপূর্ণ হবে না যতদিন না সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। জাতির পিতার পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনিই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা প্রদান করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করে ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক। দিন যতই গড়াচ্ছে, ভাষা আন্দোলনে ও বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষায় জাতির পিতার অবদানের কথা নিত্যনতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত আসতে পারে, বঙ্গবন্ধু তা আগেভাগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পূর্বে ১৯৪৭ সালের ৭ই জুলাই এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তৎকালীন ভারতের ইত্তেহাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার।

প্রতিমন্ত্রী পরে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের অংশ হিসাবে জাদুঘর আয়োজিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিল্প-বাংলা’ এর শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি আজীবন বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাকে ধারণ ও লালন করেছেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ততদিন পরিপূর্ণ হবে না যতদিন না সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। জাতির পিতার পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনিই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা প্রদান করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করে ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক। দিন যতই গড়াচ্ছে, ভাষা আন্দোলনে ও বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষায় জাতির পিতার অবদানের কথা নিত্যনতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত আসতে পারে, বঙ্গবন্ধু তা আগেভাগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পূর্বে ১৯৪৭ সালের ৭ই জুলাই এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তৎকালীন ভারতের ইত্তেহাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার।

প্রতিমন্ত্রী পরে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের অংশ হিসাবে জাদুঘর আয়োজিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিল্প-বাংলা’ এর শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।