বগুড়া শেরপুর আবারও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ০৫
- আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় দ্বিতীয়বারের মতো আবারও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এবং সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব কে আসামি করে মোট ১৪৭ জন ও অজ্ঞাতনামায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় মোট ০৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলার মোঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে মোঃ রিফাত সরকার বাদী হয়ে, থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ইংরেজি ১৭ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় শেরপুর থানাধীন শেরপুর পৌরসভাস্থ ধুনট মোড়ে মামলার বাদী সহ আরো অনেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহন করে। কোটা বিরোধী আন্দোলনকালে ১৭ আগস্টের দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় মামলার এজাহার নামীয় আসামী ১। মোঃ মজিবর রহমান মজনু (৭০) (সভাপতি, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগ), ২। মোঃ হাবিবুর রহমান (৭৮) (সাবেক এম.পি, শেরপুর-ধুনট), ৩। মোঃ ছরোয়ার রহমান মিন্টু, ৪। আসিফ ইকবাল সানি, ৫। তারিকুল ইসলাম তারেক, সভাপতি, শেরপুর উপজেলা যুবলীগ, ৬। মোঃ সুলতান মাহমুদ (৫৫), (সাধারন সম্পাদক, শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ) সহ মোট ১৪৭ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের খুন, জখম করিয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বল প্রয়োগ পূর্বক ভন্ডুল করার অসৎ উদ্দেশ্যে মিছিল সহকারে কোটা বিরোধী আন্দোলন কারীদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়া আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল বাহির করিয়া কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া সহ ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইতে থাকে। গুলি ও ককটেলের শব্দে আন্দোলনকারীরা ভীত হইয়া আত্মরক্ষার্থে ছুটাছুটি শুরু করিলে উপরোক্ত আসামী ১, ২, ৩ ও ৪নং আসামীর হুকুমে ৫, ৬, ৭নং আসামীগন আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল বাহির করিয়া কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকে। অন্যান্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দ্বারা কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের বেধরক মারপিট করিয়া গুরুত্বর ও সাধারন জখম করে। আসামীদের প্রকাশ্য ঘটনা দেখিয়া আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে ধৃত আসামীগন সহ অন্যান্য আসামীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শণ করিয়া চলিয়া যায়। উপস্থিত লোকজন জখমীদের উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য দ্রুত অজ্ঞাতনামা ভ্যানযোগে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করিয়া দেয়।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে, মোঃ রিফাত হোসেন বিগত ইংরেজি ০২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ৩০৮/২৪ নং জি আর ৩/৪ তৎ সহ ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/ ধারায় ১৮৬০ নং পেনাল কোডের ১৯০৮ সালের আইনের ধারা অনুযায়ী বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শেরপুর থানায় ০২ নং একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গরেরবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে ১। মোঃ আবুল কালাম মুন্সি, খন্দকারটোলার মৃত খোসলেহাজের ছেলে ২। মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৫৫),খন্দকার টোলার মৃত হবিবর রহমানের ছেলে ৩। মোঃ সুরুজ্জামান ভাংরী (৬০),খন্দকার টোলার মৃত মনছের আলীর ছেলে ৪। মোঃ ফজলুল হক (৪৭), খন্দকার টোলার মৃত খোরশেদ আলম এর ছেলে ৫। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫), কে গ্রেফতার করে , গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেল হাজতের প্রেরণ করেন।