নবীনগরের কৃতি সন্তান, শ্রী মনোরঞ্জন দেবকে নাগরিক সংবর্ধনা’ প্রদান
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ৪০ বছর পর নিজ জন্মভূমি দর্শনে এসে ব্যতিক্রমী এক নাগরিক সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন প্রায় সাত দশক আগে নবীনগরের ভোলাচং গিরিধারী আখরায় জন্ম নেয়া নবীনগরের কৃতি সন্তান, বর্তমানে ভারতের আগরতলায় বসবাসরত অল ইন্ডিয়া আকাশবাণী ও দূরদর্শন কেন্দ্র আগরতলার প্রখ্যাত মিউজিক কম্পোজার সুরের যাদুকর শ্রী মনোরঞ্জন দেব।
আজ সোমবার সকালে নবীনগর পৌরসভার ভোলাচংয়ে গিরিধারী আখরায় এক নান্দনিক ও পরিচ্ছন্ন আয়োজনে সুরস্রষ্টা মনোরঞ্জন দেবকে ঘটা করে ওই নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়।
গিরিধারী আখরা পরিচালনা কমিটির অন্যতম সভাপতি ডা. নরেন্দ্র পালের সভাপতিত্বে এই দৃষ্টিনন্দন নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংবর্ধিত অতিথি মনোরঞ্জন দেবের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা ক্রেষ্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে গুণী এই সঙ্গীতগুরু শ্রী মনোরঞ্জন দেবের জীবন ও সাধনার ওপর সারগর্ভ আলোচনায় অংশ নেন কলকাতা বেতারের প্রাক্তন উচ্চাংগ সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত সাধক মরহুম গুল মুহম্মদ খাঁর নাতনী ওস্তাদ মমতাজ বেগম।
নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, জাগরণী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি, সহকারী অধ্যাপিকা শুক্লাদেব ভট্টাচার্য, প্রবীণ চিকিৎসক ডা. তারাপদ চক্রবর্তী, দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ ও জয়নাল আবেদীন।
মাছরাঙা টেলিভিশনের কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ভোলাচং বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া, গিরিধারী আখরার সেক্রেটারী গৌতম দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক পার্থ চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক পার্থ পাল ও স্থানীয় সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী নাছির চৌধুরী।
পুরো অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন নবীনগরের কথার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।
প্রসংগত, ভোলাচং গিরিধারী আখরার বংশধর প্রখ্যাত এই সুরকার মনোরঞ্জন দেব ১৯৬৪ সালে সপরিবারে ভারতে চলে যান। সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে নিজ জন্মভূমিতে বেড়াতে আসার পর দীর্ঘ ৪০ বছর পর গতকাল রবিবার ভোলাচংয়ে পৌঁছে জন্মভূমিতে পা রেখেই অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই সুরের যাদুকর।
এসময় গিরিধারী আখরা কমিটির নেতৃত্বে স্থানীয়রা তাঁকে ঢাক ঢোল, শংখ বাজিয়ে, ও উলুধ্বণির মাধ্যমে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তাঁর কান্না দেখে উপস্থিত অনেককেই অশ্রু মুছতে দেখা যায়।