ধামইরহাটে শরীর চর্চা শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
- আপডেট সময় : ০৬:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২৮১ বার পড়া হয়েছে
মো: এ কে নোমান, বিশেষ প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধামইরহাট পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) কে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে সফিয়া স্কুল চত্বরে মো: ছানাউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মাহিশা ফাহমিদা ও রওনক সুলতানার সঞ্চালনায় এই বিদায়কে চির স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ধামইরহাট সরকারি এম এম কলেজের প্রভাষক মো: সুলতান মাহমুদ, সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: আবু ইউসুফ, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমান (দুদু) ও মোঃ ইয়াসিন আলী। বক্তব্য শেষে বিদায়ীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো: ছানাউল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহমান এবং ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বক্তব্যে বলেন, নজরুল ইসলাম ০১-১০-১৯৮৮ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা বিষয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগাদান করেন। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলাধুলার মান উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। শুধু অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়ার সাথে সংযুক্ত থেকে তা নয়, বলতে গেলে তিনি ধামইরহাট উপজেলার ক্রীড়া, স্কাউট, গার্লস গাইড ইত্যাদির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। এমনকি আঞ্চলিক খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করার নজির আছে। তার মত গুণী শিক্ষকের অভাব আমাদের প্রতিষ্ঠান সহ ধামইরহাট বাসী আশা করবে। আমরা তাহার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
অন্যদিকে সিনিয়র শিক্ষক আমিনুর রহমান (দুদু) বলেন, ক্রীড়া শিক্ষক হিসাবে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে তাহার কোন তুলনা হয় না। পাঠদানের পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের কে বিভিন্ন অনুপ্রেরণা দিয়েছে৷ তার হাত ধরেই অনেক শিক্ষার্থীরা আজ উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় হিসেবে পৌঁছাতে পেরেছে।
সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা, মো: আনিসুর রহমান বলেন, আজ এই প্রতিষ্ঠান বড়ই শূন্য লাগছে৷ কারণ, তার মত সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী শিক্ষকে আজ আমাদেরকে বিদায় দিতে হচ্ছে। ক্রীড়া জগতে তাকে আমি কখনো অলসতা করতে দেখিনি। শিক্ষকতার কর্ম জীবনে তাকে কোনদিন বিনা কারণে অনুপস্থিত হতে দেখিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল মান্নান, মো: মফিজুল হক (রায়হান), মো: আমিনুল হক (সাবু), সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, হিরো কুমার, জাহাঙ্গীর আলম (লিটন), শাহাদাত হোসেন, আমজাদ হোসেন, মোরশেদ হোসেন (রেজিন), মোস্তাক আহমেদ, মতিউর রহমান, মোসা: রতনা, মোসা: রেজিনা বানু, মোসা: তাজনুর বানু, শানজিদা খাতুন, মোন শাপলা বানু, সুমাইয়া খাতুনপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষে বিদায়ী শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম নিজে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাহাকে বেচে থাকা পর্যন্ত যেন সুস্থ রাখে, এসময় উপস্থিত সকলেই আবেগেই কেঁদে ওঠে। আসলেই বিদায় কথাটি ছোট্ট মনে হলেও এর ব্যাখ্যা অনেক। বিদায় বড় কষ্টের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দেওয়া যায় কিন্তু মন থেকে কাওকে কখনও বিদায় দেওয়া যায় না। সেজন্যই কবির এই কবিতা “যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়”।