ঝালকাঠির রাজাপুরে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
এইচ এম নাসির উদ্দিন ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া আক্তারের
(১৪) মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা। রোববার দুপুরে আসমা বেগম শহরের একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সিনথিয়া আক্তার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের মেয়ে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসমা বেগম জানান, গত বছরের ২৪ আগষ্ট তার ছোট মেয়ে সিনথিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সিনথিয়ার মা তখন চাকুরির সুবাদে ঢাকায় ছিলেন এবং সিনথিয়া তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া করছিলো। কিন্তু উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকার মহারাজ তালুকদারের ছেলে রাকিব তালুকদারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মানসিক নির্যাতন করতো। কিন্তু সে কিভাবে মারা গেলো তা আজও উদঘাটন হয়নি। তাকে কেহ হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখলো নাকি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করলো তা জানতে পারিনি। সিনথিয়ার মায়ের অভিযোগ, রাকিব তালুকদারের কারনেই তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এ মৃত্যুর
দায় সে কোনভাবেই এড়াতে পারে না। তাই পুলিশ প্রশাসেনর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের
মাধ্যমে মৃত্যুর কারন উদঘাটন করে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সিনথিয়ার
মা আরও অভিযোগ করেন, পরের দিন থানায় আভিযোগ দিতে গেলে এস.আই মোঃ হেলাল তার
সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে অভিযোগ নিবে বলে
জানায় অন্যথায় আদালতে মামলা করতে বলেন এবং এসআই রফিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রæত
আনার জন্য ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই স্কুলের শিক্ষক আবুকে দিয়ে ডেকে রাজাপুর মডেল
পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনে অভিযুক্তদের পক্ষে ইন্দ্রপাশার নান্নু হাওলাদার টাকার বিনিময়ে আপোস করার আফার দেয়। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিলে বলে ছোট মেয়ের ভাল চাইলে চুপচাপ থাকতে। গত ১ বছর যাবৎ পাষ্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য ধারে
ধারে ঘুরছেন তিনি। রাজাপুর থানার এসআই আল হেলাল সিকদার জানান, ওসির নির্দেশে ওই ছাত্রীর বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করে। এ কারনে ওই ছাত্রীর মা তাকে দিয়ে অপমৃত্যু মামলা ও বিষয়টি তদন্তের দাবি করেছিলো কিন্তু ঘটনাটি এসআই রফিক তদন্তভার পাওয়ায়
এসআই হেলাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করতেছে। ওই ছাত্রীর মা চাইলে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে পারতেন। রাজাপুর থানার এসআই রফিক টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পোষ্টমর্টেমে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে রিপোর্ট এসেছে। কপি ওই ছাত্রীর মাকে নিতে বলা হয়েছে।