ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই : বাংলাদেশ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্ম জয়ন্তী: মধুমেলা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বন্ধুসভার পাঠচক্র‍ বিজিবির অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমারের ৩১ টি গরু জব্দ! গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে আত্মহত্যার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা

আবু সায়েম আকন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝালকাঠির রাজাপুরে আত্মহত্যার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভূক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা ও চল্লিশ কাহনিয়ার আব্দুল মজিদ খানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা ও তার দুই সহযোগীসহ অজ্ঞাত দুই জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ১১জুন বিকালে নাসিমা বেগমের বড় মেয়ে মোসাঃ কেয়া মনি সহপাঠীদের সাথে উত্তমপুর বাজারে ছবি তুলতে যায়। ছবি তুলে বাড়ী আসার পথে চল্লিশ কাহনিয়া এলাকার মাঝি বাড়ী ও মোল্লা বাড়ীর মধ্যবর্তী নির্জন রাস্তার উপর আসলে মিজান তার দুই সহযোগীদের সাথে নিয়ে কেয়া মনির পথ আটকায়। এ সময় মিজান কেয়া মনিকে প্রেমসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় মিজানের দুই সহযোগী পাশে দাড়িয়ে হাসাহাসি করে। স্থানীয়দের দেখে মিজান ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে কেয়া মনিও বাড়িতে চলে যায়। তবে কাউকে কিছু না বললেও ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কেয়া মনি সকলের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে ১৩ জুন নিজ বসত ঘরের দ্বিতীয় তলার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় আর একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেন। পরে ঘটনা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানতে পেরে গত ১৮ জুন রায়ে নাসিমা বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ০৭।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার স্বার্থে সকল আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।তবে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝালকাঠিতে আত্মহত্যার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা

আপডেট সময় : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

ঝালকাঠির রাজাপুরে আত্মহত্যার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভূক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা ও চল্লিশ কাহনিয়ার আব্দুল মজিদ খানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা ও তার দুই সহযোগীসহ অজ্ঞাত দুই জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ১১জুন বিকালে নাসিমা বেগমের বড় মেয়ে মোসাঃ কেয়া মনি সহপাঠীদের সাথে উত্তমপুর বাজারে ছবি তুলতে যায়। ছবি তুলে বাড়ী আসার পথে চল্লিশ কাহনিয়া এলাকার মাঝি বাড়ী ও মোল্লা বাড়ীর মধ্যবর্তী নির্জন রাস্তার উপর আসলে মিজান তার দুই সহযোগীদের সাথে নিয়ে কেয়া মনির পথ আটকায়। এ সময় মিজান কেয়া মনিকে প্রেমসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় মিজানের দুই সহযোগী পাশে দাড়িয়ে হাসাহাসি করে। স্থানীয়দের দেখে মিজান ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে কেয়া মনিও বাড়িতে চলে যায়। তবে কাউকে কিছু না বললেও ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কেয়া মনি সকলের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে ১৩ জুন নিজ বসত ঘরের দ্বিতীয় তলার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় আর একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেন। পরে ঘটনা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানতে পেরে গত ১৮ জুন রায়ে নাসিমা বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ০৭।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার স্বার্থে সকল আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।তবে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।