জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিকাশকে বয়কট করতে শুরু করছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
জামালপুর মেলান্দহতে বিকাশসহ ব্রাক সংশ্লিষ্ট সেবা বয়কটের হিড়িক পড়েছে। ফেইসবুকে বয়কট আহবান ছড়িয়ে পড়ার পড় থেকে বিকাশ ব্যাবসায় ভাটা পড়েছে। অনেকেই বিকাশ এ্যাপস বন্ধ করে দিয়েছেন৷ মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যাবসায়ী ও বিকাশ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়। অধিকাংশ দোকানে বড় কোন লেনদেন হয়নি৷ যাদের একাউন্টে টাকা ছিলো অনেকেই বের করে নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিকাশ এজেন্ট বলেন, গতকালের গঠনার পর থেকে লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। প্রতিবাদ হিসাবে গ্রাহকেরা বয়কট করছেন বলে তাদের কে বলেছেন।
বিকাশ গ্রাহক উমর সানি বলেন, ব্রাক শিক্ষক মাহতাব ইস্যুতে যতক্ষণ না দুঃখ প্রকাশ করে তার চাকরি ফিরিয়ে দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্রাকের সংশ্লিষ্ট সকল কিছু বয়কট করবো৷
গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের দুটি পাতা ছেঁড়েন আসিফ মাহতাব।
বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাইয়ের অভিযোগ তোলেন মাহতাব। এ সময় তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দিতে বলেন এই শিক্ষক।
এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাহতাব লেখেন, ‘আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।’
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের দুটি পাতা ছিঁড়েন তিনি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সাথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।