ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই : বাংলাদেশ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্ম জয়ন্তী: মধুমেলা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বন্ধুসভার পাঠচক্র‍ বিজিবির অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমারের ৩১ টি গরু জব্দ! গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন

ছোট ভাইয়ের আবাদি জমিতে সেচ দিতে বড় ভাইয়ের বাঁধা

মিজানুর রহমান মিলন শাজাহানপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রচন্ড খড়তাপে পুড়ছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কৃষক আব্দুল মোমিন(৩৫) এর কচু আবাদ। সেই জমিতে সেচের জন্য পানি দিতে বাঁধা সৃস্টি করছেন আপন বড় ভাই আব্দুর রশিদ(৫০)। জমিটিতে সেচের পানি নিতে হলে বড় ভাইয়ের বাড়ি সংলঘ্ন গলি দিয়েই নিতে হবে। ২ভাই ওই গ্রামের মন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। এ নিয়ে সোমবার(৫জুন) সকাল ৮টার দিকে উভয় ভাইয়ের মধ্যে হাতা হাতির ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ হয় নাই।

সরেজমিনে বড় ভাই আব্দুর রশিদ জানান, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে আমার ছোট ভাই মোমিন সেচের জন্য পানি নিচ্ছিল। আমি বলেছিলাম পাইপ দিয়ে পানি নেয়ার জন্য। কিন্তু সে তা না করেই পানি নিচ্ছিল। আমার স্ত্রী নিষেধ করায় তাঁকে মেরে রক্তাত্ব করেছে।

ছোট ভাই আব্দুল মোমিন জানান, প্রচন্ড তাপে আমার আবাদ পুড়ে যাচ্ছে। পানি সেচ দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই আমার বড় ভাই রশিদ এর বাড়ির গলি দিয়ে আমার কচু বাগানে পানি নিচ্ছিলাম। ওই গলি পায়ে হাঁটার রাস্তার জন্য আমরা সাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। যদিও বড় ভাই এখন তাঁর নিজের বলে দাবি করছেন। আবাদ নস্ট হলে আমাদেও পেট চলবেনা।

জানতে চাইলে তাঁদের পিতা বৃদ্ধ মন্তাজ প্রামানিক জানান, যে গলি দিয়ে মোমিন জমিতে পানি নিচ্ছিল তা আমাদেও পরিবারের সবার পায়ে হাঁটার জন্য রাখা হয়েছে। আমি আমার সন্তানদেও জমি ভাগ করে দেয়ার সময় সেভাবেই দিয়েছিলাম। ওই গলির জায়গার জন্য আমি রশিদকে তাঁর বাড়ির সাথে এক শতাংশ জমি বেশি দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ছোট ভাইয়ের আবাদি জমিতে সেচ দিতে বড় ভাইয়ের বাঁধা

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

প্রচন্ড খড়তাপে পুড়ছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কৃষক আব্দুল মোমিন(৩৫) এর কচু আবাদ। সেই জমিতে সেচের জন্য পানি দিতে বাঁধা সৃস্টি করছেন আপন বড় ভাই আব্দুর রশিদ(৫০)। জমিটিতে সেচের পানি নিতে হলে বড় ভাইয়ের বাড়ি সংলঘ্ন গলি দিয়েই নিতে হবে। ২ভাই ওই গ্রামের মন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। এ নিয়ে সোমবার(৫জুন) সকাল ৮টার দিকে উভয় ভাইয়ের মধ্যে হাতা হাতির ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ হয় নাই।

সরেজমিনে বড় ভাই আব্দুর রশিদ জানান, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে আমার ছোট ভাই মোমিন সেচের জন্য পানি নিচ্ছিল। আমি বলেছিলাম পাইপ দিয়ে পানি নেয়ার জন্য। কিন্তু সে তা না করেই পানি নিচ্ছিল। আমার স্ত্রী নিষেধ করায় তাঁকে মেরে রক্তাত্ব করেছে।

ছোট ভাই আব্দুল মোমিন জানান, প্রচন্ড তাপে আমার আবাদ পুড়ে যাচ্ছে। পানি সেচ দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই আমার বড় ভাই রশিদ এর বাড়ির গলি দিয়ে আমার কচু বাগানে পানি নিচ্ছিলাম। ওই গলি পায়ে হাঁটার রাস্তার জন্য আমরা সাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। যদিও বড় ভাই এখন তাঁর নিজের বলে দাবি করছেন। আবাদ নস্ট হলে আমাদেও পেট চলবেনা।

জানতে চাইলে তাঁদের পিতা বৃদ্ধ মন্তাজ প্রামানিক জানান, যে গলি দিয়ে মোমিন জমিতে পানি নিচ্ছিল তা আমাদেও পরিবারের সবার পায়ে হাঁটার জন্য রাখা হয়েছে। আমি আমার সন্তানদেও জমি ভাগ করে দেয়ার সময় সেভাবেই দিয়েছিলাম। ওই গলির জায়গার জন্য আমি রশিদকে তাঁর বাড়ির সাথে এক শতাংশ জমি বেশি দিয়েছি।