গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর মামলায় ফাঁসলেন মাহাবুব আলী – সাহাবুদ্দিন আজম ও মৃত এক কবরবাসী
- আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলার ঘটনা, হওয়া মামলাতে বর্তমান সরকারের প্রভাব উদ্দেশ্যমূলক ও আওয়ামী নেতা কর্মীদের মাঠ থেকে দূরে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করছে।
সারা দেশের ন্যায় প্রতিহিংসার রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবুদ্দিন আজম সহ বহু নিরীহ নেতৃত্ব স্থানীয় নেতা কর্মীদের। দেশ সংস্কারে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মৃত ব্যক্তিরাও ছাড় পাচ্ছে না এই মামলায়। এই মামলায় আসামী করা হয়েছে গোপীনাথপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার মেম্বারকে যে কিনা মৃত্যুবরণ করেছে এ ঘটনার বেশ আগে।
সারা দেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনের নামে চলছে স্বাধীন বাংলার স্বাধীনতার চেতনার স্মৃতি মুছে ফেলার অপরাজনীতি। ছাত্রদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে স্বার্থ সিদ্ধি করছে একদল স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে রক্তের বিনিময়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ এটা যেমন অস্বীকার করা দেশের কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। তেমনি বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশ উন্নয়ন সমগ্র জাতির সামনে দৃশ্যমান। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা ছিল তার মূল লক্ষ্য। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকায় সারা দেশে তার অজান্তে শেখ পরিবারের সদস্য ও এদের লতায় পেঁচানো শেখ পদবির পরিচয় ধারী আত্মীয় এবং তাদের হাতে গড়া কিছু মানুষরূপী দানবের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছিল, এদের প্রভাবে দলটির ত্যাগী নেতাদের মূল্যে হারিয়ে গিয়েছিল সারা দেশে।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ উন্নয়ন ও পিতার সোনার বাংলার গড়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যস্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার এই উন্নয়নকে পুজি করে সারা দেশের কিছু অসাধু নেতা কর্মী, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও নেতাদের হাত ধরে চাকরি পাওয়া কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা নিজেদের নামে সম্পদের পাহাড় গড়ে দেশকে তেলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সারা দেশে সৃষ্টি করেছিল ত্রাসের রাজত্ব। ঘুষ বাণিজ্যে, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করেছে। তারা সরকারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ কোটি টাকা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার আশেপাশের দুর্নীতিবাজ ও তাদের অবৈধ অর্থের ব্যাপারটি জানতে পেরে শুরু করেছিলেন এদের বিরুদ্ধে অভিযান। এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলাটাই শেখ হাসিনার বড় অপরাধ।
স্বাধীন বাংলার ইতিহাসের দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার এই উন্নয়নের চেয়ে দুর্নীতি, দেশের অর্থ লুটপাট, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণশারী (পুলিশ) বাহিনীর অবৈধ দৌরাত্ম্য, শেখ পরিবারের হাত ধরে আসা সারা দেশে অযোগ্য নেতাদের অপকর্মের ওজন বেশি হওয়ায় জনমনে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের দৃশ্য চাঁপা পড়ে যায়।
অবশেষে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী বিরোধীরা ছাত্রদের উপর ভর করা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা ও তাদের সাথে মিলিত হওয়া সরকারের উপর মহলের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে।