ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পূর্বের সিস্টেম যদি বলবৎ থাকে তাহলে কি আমরা এই বাংলাদেশ জন্য জীবন দিয়েছি ; গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কেউ একজন আসুক খানপুর ইউনিয়ন সোনালী সংসদের উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান

কুড়িগ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার

একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের। ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর বছরের পর বছর ধরে পাকা সেতুর দাবি করে আসলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোন দফতর। এদিকে ভুক্তভোগীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের ভাঙা সাঁকোর নিচে পাতানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বর্ষা কিংবা খরা, যাতায়াতের দুর্ভোগ নিয়ে দিন কাটছে তাদের।

এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর। এই ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেছেন খালের ওপাড়ে ১৮০টি পরিবারের আবাসন প্রকল্পসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পসহ পাশের গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কে ১৭ বছর আগে খালের ওপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

খালের ওপাড়ে বালাটারি আবাসনের বাসিন্দা সবরি জানায়, কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে। তারপর থেকে আর কোন সাঁকো বা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনকে বার বার বলার পরও কোন কাজ হয়নি। ফলে এই ভাঙা সাঁকোয় জীবন চালাতে হচ্ছে আমাদের এ পাড়ের আবাসনের ১৮০ পরিবারসহ ৫ গ্রামের মানুষের।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানায়, আবাসনে একটি মাদ্রাসা আছে। এই ভাঙা সেতুর কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতে পারে না। তাছাড়া এ এলাকার মানুষজন তাদের পণ্য আনা-নেয়াও করতে পারছে না।

এদিকে সাঁকোর জরাজীর্ণতার কথা স্বীকার করে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনুমা তারান্নুম জানান, জরাজীর্ণ সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ৬০ মিটার দৈর্ঘের কাঠের সাঁকোটি। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাঁকো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের। ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর বছরের পর বছর ধরে পাকা সেতুর দাবি করে আসলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোন দফতর। এদিকে ভুক্তভোগীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের ভাঙা সাঁকোর নিচে পাতানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বর্ষা কিংবা খরা, যাতায়াতের দুর্ভোগ নিয়ে দিন কাটছে তাদের।

এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে ফুল সাগর বিলের সংযোগ খালের ওপর। এই ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেছেন খালের ওপাড়ে ১৮০টি পরিবারের আবাসন প্রকল্পসহ পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পসহ পাশের গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কে ১৭ বছর আগে খালের ওপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

খালের ওপাড়ে বালাটারি আবাসনের বাসিন্দা সবরি জানায়, কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে। তারপর থেকে আর কোন সাঁকো বা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা প্রশাসনকে বার বার বলার পরও কোন কাজ হয়নি। ফলে এই ভাঙা সাঁকোয় জীবন চালাতে হচ্ছে আমাদের এ পাড়ের আবাসনের ১৮০ পরিবারসহ ৫ গ্রামের মানুষের।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানায়, আবাসনে একটি মাদ্রাসা আছে। এই ভাঙা সেতুর কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতে পারে না। তাছাড়া এ এলাকার মানুষজন তাদের পণ্য আনা-নেয়াও করতে পারছে না।

এদিকে সাঁকোর জরাজীর্ণতার কথা স্বীকার করে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনুমা তারান্নুম জানান, জরাজীর্ণ সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আবাসন প্রকল্পসহ পার্শ্ববর্তী মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ৬০ মিটার দৈর্ঘের কাঠের সাঁকোটি। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাঁকো।