ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই : বাংলাদেশ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্ম জয়ন্তী: মধুমেলা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বন্ধুসভার পাঠচক্র‍ বিজিবির অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমারের ৩১ টি গরু জব্দ! গুম খুনের প্রতিটি মামলায় হুকুমের আসামী থাকবে হাসিনা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জলঢাকায় জমি দখল ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ ভেপুরাইজার মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ায় ফ্রেন্ডস্ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান জবাবদিহি পত্রিকার ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে খোকসায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম

মো: আনোয়ার হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো: আনোয়ার হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহে শ্যামলী আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি মা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টা দিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ সিনিয়র নার্সের তত্ত্বাবধানে ফুটফুটে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

জন্ম নেওয়া তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন ও বয়স কম হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। যাদের ওজন ৯০০ গ্রাম ৮৭৫ গ্রাম ও ৭৫০ গ্রাম।এতে খুশির মাঝেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার।

শ্যামলী আক্তার উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকার শফিকের স্ত্রী। এ দম্পতির এর আগে কোনো সন্তান নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ শ্যামলী আক্তারের গর্ভের সন্তানদের সাত মাস চলছিল। শনিবার সকালে হালকা ব্যাথা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালে এসে ব্যথা বাড়লে পরীক্ষা করে সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠেছে বলে জানায় নার্সরা।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ। পরে সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার ও অন্য নার্সদের তত্ত্বাবধানে দুপুর ১টা দিকে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে নবজাতকের জন্ম হয়। এতে মা সুস্থ থাকলেও সন্তানদের বয়স ও ওজন কম হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। পরে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত গাইনী চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুমের পরামর্শে তিন অপরিপক্ক নবজাতক ময়মনসিংহ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।

গৃহধূরর বড় বোন সপ্না আক্তার বলেন, গতকাল রাত থেকে শ্যামলীর শরীর খারাপ ছিল। ওর গর্ভকালীন সময়ের সাত মাস চলছিল। আমরা আগে থেকেই ৩ সন্তানের কথা জানতাম। সকালে হাসপাতালে চেকআপ করাতে আসলে ব্যথা বেড়ে যায়। পরে নার্সরা দেখে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে সন্তান প্রসব করান। শ্যামলী সুস্থ থাকলেও বয়স কম হওয়ায় ৩ ছেলের ওজন কম হয়েছে। পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আল্লাহ ভালো জানেন সন্তানগুলো বাচবো কিনা।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার বলেন,’ সকালে নবজাতকের মা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আছে। পরে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখি। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল ওই নারীর গর্ভে তিন বাচ্চা। পরে আমরা পরীক্ষা করে দেখি বাচ্চা প্রসবের ব্যথা উঠেছে তাঁর।

এমন অবস্থা ছিল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা প্রসব হবে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুম ম্যাডামের পরামর্শে স্বাভাবিকভাবেই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। মা সুস্থ থাকলেও তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন ছিল অনেকটাই কম। তিন নবজাতককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

মো: আনোয়ার হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহে শ্যামলী আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি মা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টা দিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ সিনিয়র নার্সের তত্ত্বাবধানে ফুটফুটে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

জন্ম নেওয়া তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন ও বয়স কম হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। যাদের ওজন ৯০০ গ্রাম ৮৭৫ গ্রাম ও ৭৫০ গ্রাম।এতে খুশির মাঝেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার।

শ্যামলী আক্তার উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকার শফিকের স্ত্রী। এ দম্পতির এর আগে কোনো সন্তান নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ শ্যামলী আক্তারের গর্ভের সন্তানদের সাত মাস চলছিল। শনিবার সকালে হালকা ব্যাথা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালে এসে ব্যথা বাড়লে পরীক্ষা করে সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠেছে বলে জানায় নার্সরা।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ। পরে সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার ও অন্য নার্সদের তত্ত্বাবধানে দুপুর ১টা দিকে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে নবজাতকের জন্ম হয়। এতে মা সুস্থ থাকলেও সন্তানদের বয়স ও ওজন কম হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। পরে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত গাইনী চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুমের পরামর্শে তিন অপরিপক্ক নবজাতক ময়মনসিংহ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।

গৃহধূরর বড় বোন সপ্না আক্তার বলেন, গতকাল রাত থেকে শ্যামলীর শরীর খারাপ ছিল। ওর গর্ভকালীন সময়ের সাত মাস চলছিল। আমরা আগে থেকেই ৩ সন্তানের কথা জানতাম। সকালে হাসপাতালে চেকআপ করাতে আসলে ব্যথা বেড়ে যায়। পরে নার্সরা দেখে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে সন্তান প্রসব করান। শ্যামলী সুস্থ থাকলেও বয়স কম হওয়ায় ৩ ছেলের ওজন কম হয়েছে। পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আল্লাহ ভালো জানেন সন্তানগুলো বাচবো কিনা।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার বলেন,’ সকালে নবজাতকের মা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আছে। পরে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখি। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল ওই নারীর গর্ভে তিন বাচ্চা। পরে আমরা পরীক্ষা করে দেখি বাচ্চা প্রসবের ব্যথা উঠেছে তাঁর।

এমন অবস্থা ছিল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা প্রসব হবে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুম ম্যাডামের পরামর্শে স্বাভাবিকভাবেই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। মা সুস্থ থাকলেও তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন ছিল অনেকটাই কম। তিন নবজাতককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।