ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি ৭ দিনের মধ্যে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না পাল্টালে কমপ্লিট শাটডাউন কারাগারে আলেয়া বেগম নামে এক মহিলা হাজতির মৃত্যু ঘোড়াঘাটে যুবদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত জামালপুরে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গোবিন্দনগর এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা ১জন যুবককে আটক করেছে পুলিশ নতুন অধ্যায়ের সূচনা: ছাত্রনেতৃত্বে রাজনৈতিক দল, প্রধান হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম শাজাহানপুরে জামুন্না পল্লী বন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ডিএনডি খাল রক্ষণাবেক্ষণ কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের গন শুনানি

আগামীকাল কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিন্দুমতী মেলা

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক যখন সময় অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায়
আগামীকাল (১৭এপ্রিল) বুধবার ভোর থেকে
সিন্দুমতী মেলা। যেখানে মেলা বসে ইতিহাস প্রসিদ্ধ সেই পুকুরটির নাম সিন্দুরমতি। চিলমারী ব্রক্ষপুত্র নদে অষ্টমী তিথিতে সনাতন হিন্দু ধর্মাবল্মীরা স্নান করে পূজার্চনা সেরে সিন্দুরমতী পুকুরে রাম নবমী তিথিতে স্নান সম্পন্ন করলে পাপমোচন হয় বলে কথিতে বলা হয়। তাই প্রতি বছর রাম নবমী তিথিতে পূর্নাথীরা এ দিঘীতে স্নান করতে আসে। ফলে ঐতিহাসিক মেলায় রূপান্তরিত হয়। এটি লালমনিহাট জেলা সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ও রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিছু অংশে অবস্থিত। শুধু একটি সুবিশাল প্রাচীন পুকুর নয়, হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দুদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হিসেবে মানিত হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে খনিত পুকুরটির তথ্য সম্বলিত গ্রন্থ বা প্রামাণ্যে নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে এটি কোন সময়ে সৃষ্টি হয়েছে তা নির্ণয় সম্ভব হয়নি। প্রাচীন কাহিনী ও কিংবদন্তী সংগ্রহ করা যত সহজ কিন্তু সন-তারিখ নির্ধারন বা অনুমান করা সহজ নয়। স্থানীয় প্রবীণদের মতে পুকুরটি ত্রেতাযুগে সৃষ্টি।

জনশুতি আছে যে, সে সময় থেকে চৈত্রমাসের রামনবমী তিথিতে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি পুকুরে পুণ্যস্নানের প্রচলন হয় এবং পবিত্র তীর্থটির মাহাত্ব্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

অনেকের মতে, বাংলা ১৩ সনের চৈত্র মাসের রাম নবমীতে সৃষ্টি। কেহ কেহ বলেন, সিন্দুরমতি পুকুরের ন্যায় বাংলাদেশে অনেক পুবুর আছে। যেমন বরিশালের মাধব পাশায় ‘ দুর্গা সাগর ‘ রাণী দুর্গাবতী কর্তৃক ১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকান্ড দীঘিটি খনিত হয়।

পটুয়াখালী জেলার কচুয়া নামক স্থানে রাণী কমলা কর্তৃক ‘কমলার দীঘি ‘ খনিত হয় পাঠান আমলে।

জয়পুরহাট জেলার নান্দাইল দীঘি ‘ রাজা নন্দলাল কর্তৃৃক ১৬ খ্রীষ্টাব্দে খনন করা হয়। জামালপুর জেলার ‘ ঝিনাই পাড়ের ‘ চন্দ্রবতী দীঘি ‘ রাজা হরিশ চন্দ্র কর্তৃক সংস্থাপিত করা হয়।

আবার অনেকে বলেন, ১৫১৩খ্রীস্টাবে (মধ্যযুগে) কুচবিহার রাজবংশের একটা অংশ পাঙ্গায় একটি ছোট রাজ্য স্থাপন করেন। সে সময় পাঙ্গায় রাজার সাথে অনেক মৈথিলী ব্রাক্ষন এসেছিল। রাজা তাদের খুব সমাদর করতেন এবং নিস্কর ভূমিদান করে এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের
সুব্যবস্থা করে দিতেন।

অনেকের ধারনা, ওই ব্রাক্ষনের বংশধর রাজনারায়ন সিন্দুরমতিতে বসতি স্থাপন করে ছিলেন। যা হোক, উপরিলিখিত কিংবদন্তী পুকুর সমুহ মধ্য যুগে খনিত এবং সৃষ্টি রহস্য একই রূপ। জীবন বির্সজনের বিনিময়ে এ সব দীঘিকায় জলের পরিপূন্যতা লাভ করেছিল ।

অপরদিকে সিন্দুরমতি পুকুরের সুন্দর সৃষ্টি কাহিনী রয়েছে। জনশুতি রয়েছে, রাজা রাজ নারায়ন একজন ধার্মিক ও দানবীর ব্রাক্ষন ছিলেন। তার স্ত্রী মেনেকাদেবী ছিলেন দেবভক্তি মনা ও পতিপ্রানা। রাজ নারায়ন অল্পদিনের মধ্যে অত্র এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেন নতুন জমিদারিত্ব। ভগবানের আরাধনায় মেনেকা দেবী যথক্রমে লাভ করেন চন্দ্রিকা সদৃশ্য সুললিত দু’কন্যা সিন্দুর আর মতি।

একদা এক সময় রাজ্যে তীব্র খরা দেখা দেয়। প্রজাদেন পানীয় জলের কষ্ট লাঘবে রাজা ১৭একর জমির উপর এক বিশাল পুকুর খনন করেন। কিন্তু আর্শ্চাযর বিষয় পুকুরে এক ফোটা জলের চিহ্ন পাওয়া গেল না। রাতে রাজাকে স্বপ্নাদেশ করা হলো – তার দু’কন্যাকে দিয়ে পুকুরে পুজা করলে তবে জল আসবে। জমিদার স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী রামনবমীতে পুজার আয়োজন করলেন। পুজা স্থলে দুটি লোহার সিন্দুক ও দুটি পাঠা(ছাগল) আনা হয়। উপবাসিত সিন্দুরমতি এক সাথে দেবতাকে বরন করে নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনি রাজার মনে পড়ে যায় তুলসী পাতা ছেড়ে এসেছেন। তিনি তুলসী পাতা আনতে গেলে সহসা বিকট শব্দে পুকুরের তলদেশ ভেদ করে তীব্রবেগে অজ¯্র জলরাশি বের হতে লাগল। নিমিষেই পুকুর কানায় কানায় জলে পরিপুর্ণ হলো। কোনমতে সবাই সাতরিয়ে ডাঙ্গায় উঠে। কিন্তু উঠতে পারলো না সিন্দুর আর মতি। ইত্যবসরে জমিদার ফিরে এসে দেখেন সব শেষ। তিনি শোকে মুর্ছিত হয়ে পড়েন। মেনেকা দেবীও শোকে শর্য্যাশায়ী হয়ে পড়েন।

লীলাময় ভগবান আবার এক রাতে স্বপ্নাদেশে জানান, তার দু’কন্যার মৃত্যু হয়নি। পুকুরের তলদেশে দেবত্বপ্রাপ্ত হয়ে চির অমরত্ব লাভ করেছে। দৈব বাণীর কথায় জমিদার মনে শান্তি পেলেন । তবে তিনি স্বচোখে দু’কন্যাকে দেখার বাসনা ব্যক্ত করেন। জমিদারের মনের বাসনা পুরনে অষ্টম দিনের মাথায় অতি ভোরে পুকুরে ভাসমান জলে প্রথমে আলোহিত ও জ্যোতিময় মন্ডলে সিন্দুর ও মতির শাড়ীর আঁচল এবং কনিষ্ঠাঙ্গালি দেখান। পরে দু’কন্যার সাথে কথাও বলেন। সিন্দুর ও মতি জানান, তাদের জীবন উৎসর্গে নির্মিত্তে উক্ত স্থানটি পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে চিরকাল পূজিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

Quiz

1 / 1

দিনের ঘটনার টুকরো টুকরো প্রতিবেদন জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট ?

Your score is

The average score is 0%

0%

আগামীকাল কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিন্দুমতী মেলা

আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায়
আগামীকাল (১৭এপ্রিল) বুধবার ভোর থেকে
সিন্দুমতী মেলা। যেখানে মেলা বসে ইতিহাস প্রসিদ্ধ সেই পুকুরটির নাম সিন্দুরমতি। চিলমারী ব্রক্ষপুত্র নদে অষ্টমী তিথিতে সনাতন হিন্দু ধর্মাবল্মীরা স্নান করে পূজার্চনা সেরে সিন্দুরমতী পুকুরে রাম নবমী তিথিতে স্নান সম্পন্ন করলে পাপমোচন হয় বলে কথিতে বলা হয়। তাই প্রতি বছর রাম নবমী তিথিতে পূর্নাথীরা এ দিঘীতে স্নান করতে আসে। ফলে ঐতিহাসিক মেলায় রূপান্তরিত হয়। এটি লালমনিহাট জেলা সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ও রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিছু অংশে অবস্থিত। শুধু একটি সুবিশাল প্রাচীন পুকুর নয়, হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দুদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হিসেবে মানিত হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে খনিত পুকুরটির তথ্য সম্বলিত গ্রন্থ বা প্রামাণ্যে নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে এটি কোন সময়ে সৃষ্টি হয়েছে তা নির্ণয় সম্ভব হয়নি। প্রাচীন কাহিনী ও কিংবদন্তী সংগ্রহ করা যত সহজ কিন্তু সন-তারিখ নির্ধারন বা অনুমান করা সহজ নয়। স্থানীয় প্রবীণদের মতে পুকুরটি ত্রেতাযুগে সৃষ্টি।

জনশুতি আছে যে, সে সময় থেকে চৈত্রমাসের রামনবমী তিথিতে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি পুকুরে পুণ্যস্নানের প্রচলন হয় এবং পবিত্র তীর্থটির মাহাত্ব্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

অনেকের মতে, বাংলা ১৩ সনের চৈত্র মাসের রাম নবমীতে সৃষ্টি। কেহ কেহ বলেন, সিন্দুরমতি পুকুরের ন্যায় বাংলাদেশে অনেক পুবুর আছে। যেমন বরিশালের মাধব পাশায় ‘ দুর্গা সাগর ‘ রাণী দুর্গাবতী কর্তৃক ১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকান্ড দীঘিটি খনিত হয়।

পটুয়াখালী জেলার কচুয়া নামক স্থানে রাণী কমলা কর্তৃক ‘কমলার দীঘি ‘ খনিত হয় পাঠান আমলে।

জয়পুরহাট জেলার নান্দাইল দীঘি ‘ রাজা নন্দলাল কর্তৃৃক ১৬ খ্রীষ্টাব্দে খনন করা হয়। জামালপুর জেলার ‘ ঝিনাই পাড়ের ‘ চন্দ্রবতী দীঘি ‘ রাজা হরিশ চন্দ্র কর্তৃক সংস্থাপিত করা হয়।

আবার অনেকে বলেন, ১৫১৩খ্রীস্টাবে (মধ্যযুগে) কুচবিহার রাজবংশের একটা অংশ পাঙ্গায় একটি ছোট রাজ্য স্থাপন করেন। সে সময় পাঙ্গায় রাজার সাথে অনেক মৈথিলী ব্রাক্ষন এসেছিল। রাজা তাদের খুব সমাদর করতেন এবং নিস্কর ভূমিদান করে এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের
সুব্যবস্থা করে দিতেন।

অনেকের ধারনা, ওই ব্রাক্ষনের বংশধর রাজনারায়ন সিন্দুরমতিতে বসতি স্থাপন করে ছিলেন। যা হোক, উপরিলিখিত কিংবদন্তী পুকুর সমুহ মধ্য যুগে খনিত এবং সৃষ্টি রহস্য একই রূপ। জীবন বির্সজনের বিনিময়ে এ সব দীঘিকায় জলের পরিপূন্যতা লাভ করেছিল ।

অপরদিকে সিন্দুরমতি পুকুরের সুন্দর সৃষ্টি কাহিনী রয়েছে। জনশুতি রয়েছে, রাজা রাজ নারায়ন একজন ধার্মিক ও দানবীর ব্রাক্ষন ছিলেন। তার স্ত্রী মেনেকাদেবী ছিলেন দেবভক্তি মনা ও পতিপ্রানা। রাজ নারায়ন অল্পদিনের মধ্যে অত্র এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেন নতুন জমিদারিত্ব। ভগবানের আরাধনায় মেনেকা দেবী যথক্রমে লাভ করেন চন্দ্রিকা সদৃশ্য সুললিত দু’কন্যা সিন্দুর আর মতি।

একদা এক সময় রাজ্যে তীব্র খরা দেখা দেয়। প্রজাদেন পানীয় জলের কষ্ট লাঘবে রাজা ১৭একর জমির উপর এক বিশাল পুকুর খনন করেন। কিন্তু আর্শ্চাযর বিষয় পুকুরে এক ফোটা জলের চিহ্ন পাওয়া গেল না। রাতে রাজাকে স্বপ্নাদেশ করা হলো – তার দু’কন্যাকে দিয়ে পুকুরে পুজা করলে তবে জল আসবে। জমিদার স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী রামনবমীতে পুজার আয়োজন করলেন। পুজা স্থলে দুটি লোহার সিন্দুক ও দুটি পাঠা(ছাগল) আনা হয়। উপবাসিত সিন্দুরমতি এক সাথে দেবতাকে বরন করে নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনি রাজার মনে পড়ে যায় তুলসী পাতা ছেড়ে এসেছেন। তিনি তুলসী পাতা আনতে গেলে সহসা বিকট শব্দে পুকুরের তলদেশ ভেদ করে তীব্রবেগে অজ¯্র জলরাশি বের হতে লাগল। নিমিষেই পুকুর কানায় কানায় জলে পরিপুর্ণ হলো। কোনমতে সবাই সাতরিয়ে ডাঙ্গায় উঠে। কিন্তু উঠতে পারলো না সিন্দুর আর মতি। ইত্যবসরে জমিদার ফিরে এসে দেখেন সব শেষ। তিনি শোকে মুর্ছিত হয়ে পড়েন। মেনেকা দেবীও শোকে শর্য্যাশায়ী হয়ে পড়েন।

লীলাময় ভগবান আবার এক রাতে স্বপ্নাদেশে জানান, তার দু’কন্যার মৃত্যু হয়নি। পুকুরের তলদেশে দেবত্বপ্রাপ্ত হয়ে চির অমরত্ব লাভ করেছে। দৈব বাণীর কথায় জমিদার মনে শান্তি পেলেন । তবে তিনি স্বচোখে দু’কন্যাকে দেখার বাসনা ব্যক্ত করেন। জমিদারের মনের বাসনা পুরনে অষ্টম দিনের মাথায় অতি ভোরে পুকুরে ভাসমান জলে প্রথমে আলোহিত ও জ্যোতিময় মন্ডলে সিন্দুর ও মতির শাড়ীর আঁচল এবং কনিষ্ঠাঙ্গালি দেখান। পরে দু’কন্যার সাথে কথাও বলেন। সিন্দুর ও মতি জানান, তাদের জীবন উৎসর্গে নির্মিত্তে উক্ত স্থানটি পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে চিরকাল পূজিত হবে।