অনৈতিক কর্মকান্ডের মিথ্যা অপবাদ নন্দীগ্রামে সালিশে নারীকে ঘন্টাব্যাপি নির্যাতন
- আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভরতেতুলিয়া রুপিহার পাড়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলার বাদী হওয়ার জন্য গৃহবধুকে (৩৩) চাপ দেয় গ্রাম্য মোড়লরা। রাজি না হওয়ায় তিন সন্তানের জননী ওই নারীকে অনৈতিক কর্মকান্ডের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘরে আটকে নির্যাতনের পর গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই নারীর মাথায় আঘাত লেগেছে এবং পুরো পিঠজুড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমসহ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরই নির্যাতনের শিকার গৃহবধুকে গ্রাম থেকে বিতারিত করে দেওয়া হয় এবং মোড়লদের কথামতো আবারো গ্রামে ফিরে আনা হয় বলে সুত্রে জানা গেছে।
ঘটনার সাতদিন পর গতকাল বুধবার নির্যাতিত অসুস্থ নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন। গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার ভাটরা ইউনিয়নের ভরতেতুলিয়া রুপিহার পাড়া এলাকায় নারীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ওই গৃহবধুর অভিযোগ, মোশারফ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে ওই গৃহবধুকে বাদী হওয়ার জন্য বেশকিছুদিন ধরে চাপ দেয় গ্রাম্য মোড়লরা। মোশারফ ওই নারীর সম্পর্কে মামা। মিথ্যা মামলার বাদী না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে গৃহবধুকে অনৈতিক কর্মকান্ডের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রথমে ঘরে আটকে মারধর করা হয়। পরে গ্রাম্য সালিশ বসানো হলেও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি কেউ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন গৃহবধু জানায়, এক ঘন্টা ধরে ৮/১০জন মিলে অমানবিকভাবে মারধর করেছে। উপস্থিত সবাই তাকিয়ে দেখেছে, আর হেঁসেছে। আমার চিৎকার, কান্না, চোখের পানির প্রতি কারো দয়া হয়নি। পা ধরেছি, তারা মারধর করার সময় বলেছে, গ্রাম ছেড়ে চলে যা।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অনৈতিক কর্মকান্ডের অপবাদ দিয়ে নারীকে নির্যাতনের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।